বাংলা হান্ট ডেস্ক: এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের উন্নাও। মূলত, সেখানকার এক বিবাহের অনুষ্ঠানে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে যে, বিয়েতে উপস্থিত বরের মাথায় টাক থাকায় বিয়ে করতেই অস্বীকার করলেন কনে। এমনকি, ওই পাত্রী বিয়ের মঞ্চ ছেড়েও উঠে যান।
অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে উন্নাওয়ের সফিপুরে। গত শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে বরযাত্রীদের নিয়ে এখানে আসেন পাত্র। আর পাঁচটা বিয়েবাড়ির মতোই রীতিমতো মহাসমারোহে চলছিল বিবাহের আয়োজন। এমতাবস্থায়, রাত ১০ টার দিকে বর পঙ্কজ ও কনে মঞ্চে পৌঁছান।
সেখানে তাঁরা দু’জনেই একে অপরকে মালা পরিয়ে দেন। এরপর তাঁরা মঞ্চ থেকে নামতে শুরু করতেই পাত্র পঙ্কজ হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান। এদিকে, পাত্রের এই অবস্থায় হতচকিত হয়ে যান উপস্থিত সকলেই। জানা গিয়েছে যে, ওই পাত্রের মৃগীরোগ ছিল। আর তার ফলেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এদিকে, তৎক্ষণাৎ লোকজন তাঁকে তুলে সোফায় শুইয়ে দিয়ে চোখ-মুখে জল দিতে থাকেন। যদিও, ঠিক সেই মুহূর্তেই প্রকাশিত হয় আসল সত্য।
বরের মাথায় হাত দিতেই কার্যত বেরিয়ে আসে তাঁর পরচুলা। অর্থাৎ, টাক ঢাকতে পরচুলা পরেই বিবাহের আসরে উপস্থিত হন পঙ্কজ। এমতাবস্থায়, সকলেই পাত্রের এহেন অবস্থা দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান। আকাশ থেকে পড়েন উপস্থিত কনেও। এমনকি, ভাবী স্বামীর এই অবস্থায় রীতিমতো মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। পাশাপাশি, তিনি বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন।
এদিকে, উভয় পক্ষের লোকজনই কনেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে মোটেও রাজি ছিলেন না। এমনকি, পাত্রের বাবা অশোক কুমারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। এমতাবস্থায়, হট্টগোল এতটাই বেড়ে যায় যে পুলিশকেও খবর দিতে হয়।
তারপরেই সেখানে পৌঁছে যান পারিয়ার ফাঁড়ির ইনচার্জ রামজিৎ যাদব। উভয় পক্ষকে বোঝানোর পর বিষয়টিকে কোনোমতে সামাল দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে যে, পাত্র পঙ্কজ কোনো রকম গোলমাল ছাড়াই বরযাত্রী নিয়ে ফিরে আসেন। তিনি দিল্লিতে চাকরি করেন, পাশাপাশি পাত্রী একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষিকা।
এদিকে, ছেলের বাড়ির পক্ষ থেকে মেয়ের বাড়িতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। তারপরে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। যদিও, এই ঘটনায় কেউই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।