বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি কান্ডকে কেন্দ্র করে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। এই আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়ল ঘাসফুল শিবিরের। বড় জয় পেল বিজেপি। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে বাদ সাধে রাজ্য সরকার। তাতে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে পারবে গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী ধরনায় বসতে পারবে গেরুয়া শিবির, অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। আদালতের তরফে বলে দেওয়া হয়েছে, কোন লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবে না। দেড়শোর বেশি লোক একত্র হতে পারবে না। এই দুই শর্তের পাশাপাশি আদালতের তরফে আরও একটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তাহলে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ধারণা কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে।
আরোও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই হঠাৎ বিস্ফোরনে কেঁপে উঠল বিদ্যালয়! তোলপাড় ভাঙরে
উল্লেখ্য সন্দেশখালি তে মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পান্ডদেশে ধরনাই বসার অনুমতি চেয়ে পুলিশের তারস্ত হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারেরা। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা চলার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি কলকাতা পুলিশের তরফে। তবে এদিন আদালতের বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দেন শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা করার অধিকার রয়েছে সবার, তাতে বাধা দিতে পারেনা রাজ্য সরকার বা পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির।বলা বাহুল্য, সোমবার থেকে তিনদিন ব্যাপী গান্ধি মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ ও শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি ধর্না কর্মসূচির ডাক দেবে বলে স্থির করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি না দেওয়ায় সোমবার থেকে ধর্না অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হয় বিজেপি শিবিরকে। এই ঘটনায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাতেই মিলল ধরনার অনুমতি। কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপির ধরনার পক্ষেই সায় দিয়েছে এদিন।