বাংলাহান্ট ডেস্ক: তামিল, তেলুগু, হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির মশলা এন্টারটেনার অনেক হল। দর্শক এখন মজেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’এ (The Kashmir Files)। দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা পড়ে থাকা ইতিহাসের নির্মম সত্য ঘটনা নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। মুক্তির পর থেকেই অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে ছবিটির। বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস।
মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের দের অভিনয় মুগ্ধ করেছে মানুষকে। কিন্তু তবুও যেটুকু প্রচার হয়েছে বা হচ্ছে ছবির, সেখানে খুব কমই দেখা মিলছে তাঁদের। ছবি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা প্রশ্নোত্তরের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। কারণ এটা শুধু একটা ছবি নয়। তাঁর বহু বছরের কষ্টার্জিত ফসল।
যে কাশ্মীর ফাইলস দেখে মানুষ এখন ধন্য ধন্য করছে তা কিন্তু এক দু বছরে তৈরি হয়নি। সত্যিটাকে খুঁড়ে বের করে আনতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ চার বছর! সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক জানান, এই একটি ছবি খাড়া করতে কী অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। আর তা শুধু দৈহিক নয়, মানসিকও।
পাঁচ হাজার ঘন্টা লেগে গিয়েছে শুধু গবেষণা করতেই। সত্য ঘটনার উপরে তৈরি ছবি বানাতে প্রায় ১৫ হাজার পৃষ্ঠার একটি নথি তৈরি হয়েছিল। বিবেক ও তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী পল্লবী যোশী নিজেরা দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে নির্যাতিত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
পরিচালক দাবি করেন, সেই সময়ে দেশে ক্ষমতায় থাকা সরকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে অমানুষিক অত্যাচারের ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। সে কারণে অনেকেই জানেন না, আসলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ দেখান পরিচালক। সেখানে দেখা যায়, অত্যাচারিত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মুখে ভয়াবহতার কাহিনি শুনে চোখের জল মুছছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র করে দ্য কাশ্মীর ফাইলসকে বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “গত পাঁচ ছয় দিন ধরে বাকস্বাধীনতার ঝান্ডাধারী জামাত ক্ষেপে রয়েছে। সত্য এবং শিল্পের নিরিখে ছবিটিকে না দেখে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।” মোদীর কথায়, দ্য কাশ্মীর ফাইলসের মতো ছবি আরো বানানো উচিত যেগুলো সত্যকে সামনে আনবে।