বাংলাহান্ট ডেস্ক: দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) বিতর্ক মনে করিয়ে দিয়েছে দ্য কাশ্মীর ফাইলসের কথা। গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য কাশ্মীর ফাইলসও বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল দীর্ঘদিন। দুটি ছবির মধ্যেই রয়েছে একটি মিল। তথাকথিত বড় কোনো তারকা ছাড়া, কম বাজেটেই তৈরি হয়েছে দুটি ছবি। কিন্তু ছবির ব্যবসা ছাপিয়ে গিয়েছে সমস্ত বিতর্ককে। দ্য কেরালা স্টোরিও ১০০ কোটির মাইলফলক ছু্ঁতে চলেছে দেশে।
আর এবার বিদেশেও মুক্তি পেল দ্য কেরালা স্টোরি। আমেরিকা এবং কানাডায় ২০০ র-ও বেশি পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে ছাপ ফেলতে তৈরি দ্য কেরালা স্টোরি। এবার ভারতের মতো বিদেশেও ছবিটি একই রকম সাফল্য পায় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।
গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি নিয়ে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে চলছে শোরগোল। কোনো রাজ্যে ছবিটি করমুক্ত হলে অপর রাজ্যে আবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে দ্য কেরালা স্টোরি। সদ্য পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশের মধ্যে বাংলাই প্রথম, যেখানে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ছবির প্রদর্শনী। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অবশ্য অন্য চিত্র। সেখানে কার্যত করমুক্ত করা হয়েছে এই ছবিকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছবিটির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। ট্রেলারে প্রথমে তাঁকে কেরল বাসী এক হিন্দু মেয়ের চরিত্রে দেখানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁকে। শেষে তাঁর জায়গা হয় ISIS-এ। আদা বলেন, সন্ত্রাসবাদের এই গল্প ভয়ঙ্কর। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো বলতেই হত।