বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে ততই ভেঙে পড়ছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি। কোনোভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না সেদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ক্রমশ নিঃশেষের পথে। শুধু তাই নয়, ডলারের ঘাটতির কারণে তেল কোম্পানিগুলিও রীতিমতো হাল ছেড়ে দিয়েছে।
এমতাবস্থায়, অপরিশোধিত তেলের অভাবের কারণে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই বর্তমানে ডলারের দরপতনের কারণে পাকিস্তানি রুপির দর ক্রমশ কমছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তেল শোধনাগার দ্রুত চালু না হলে কিছুদিনের মধ্যেই সেখানকার অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে এবং পাকিস্তানকে “ঋণখেলাপি” হিসেবেও ঘোষণা করা হতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে, গত বছরের বন্যার কারণে পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যক রাস্তা এবং সেতু কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আর ওই কারণে তেল কোম্পানিগুলিকে অপরিশোধিত তেল আনতে একাধিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যার ফলে তেল কোম্পানিগুলির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আপাতত তেল কোম্পানিগুলির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরিশোধিত তেল শোধনাগারে না পৌঁছলে, তা পাকিস্তানে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
কবে আসবে অপরিশোধিত তেল: ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের Cnergyico-র তরফে গত ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকারকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় যে, অপরিশোধিত তেলের ভাঁড়ার শেষ হয়ে যাওয়ায় অপরিশোধিত তেল আসার পরেই কাজ পুনরায় শুরু করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত তেলের জাহাজ সেখানে পৌঁছলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হতে পারে। উল্লেখ্য যে, Cnergyico শোধনাগারে দিনে ১,৫৬,০০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। অয়েল কোম্পানি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের (ওসিএসি) মতে, অবিলম্বে অপরিশোধিত তেল আমদানির ব্যবস্থা না করলে শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবকিছু।
IMF-এর কাছ থেকে কি সাহায্য মিলবে: বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে পাকিস্তান। যদিও, IMF-এর কাছ থেকে পাকিস্তানের আর্থিক সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্যের জন্য IMF-এর কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে, IMF পাকিস্তানকে তাদের ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে, IMF-এর শর্ত মেনে নেওয়ায় পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই বেড়েছে। তবে, বর্তমানে IMF-এর একটি দল পাকিস্তানে রয়েছে এবং একটি পর্যালোচনা বৈঠক করছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান ওই পর্যালোচনা বৈঠকে IMF-এর সব শর্ত মানতে প্রস্তুত থাকলে ৭ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য পেতে পারে।