বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের সীমানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian army) কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রেখেছে। সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি প্রবেশের খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ছে আতঙ্কবাদী নির্মূল করতে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেখান থেকে একের পর এক জঙ্গি হামলা এবং নাশকতার ছক বানচাল করে চলেছে ভারতের সেনারা।
সম্প্রতি লেফটিন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু কাশ্মীরের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘যারা হাতিয়ার ধরে দেশের বিরুদ্ধে আঘাত হানার চেষ্টায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। তবে যারা হাতিয়ার ধরার পরও দেশে ফিরে আসতে চাইছে, তাদের আমরা ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত’। অর্থাৎ এখনও সময় আছে, শুধরে যাও, নয়ত মরার জন্য প্রস্তত হও।
লেফটিন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু (Lieutenant General BS Raju) আরও জানিয়েছেন, ‘আতঙ্কবাদের রাস্তা কখনই লক্ষ্যে পৌঁছানোর একমাত্র পথ নয়। দেশের যেসকল যুবকরা সেই দলে যুক্ত হয়েছেন, এখন সময় আছে নিজের ভালো চাইলে, দেশের ভালো চাইলে ফিরে এসো। ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পন করা বেশ কয়েকজনকে আমরা সাদরে ফিরিয়ে এনেছি। তাই বলব, যদি কেউ খারাপ পথে চলে যান, এখন সময় আছে ফিরে আসুন’।
এই ঘটনার পরই স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হতে দেখা গেছে। যেখানে দেখা যায় চোখের সামনে বন্ধুকে সেনাদের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে দেখে আত্মসমর্পণ করল অপর জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার ত্রাল এলাকায়। জঙ্গি আত্মগোপনের খবর পেয়ে সেখানে হামলা চালায় ভারতীয় সেনারা। সেখানেই ফাউয়ারিং-এ সেনাদের গুলিতে নিহত হয় এক আতঙ্কবাদী এবং অপরজন আত্মসমর্পণ করে।
পরবর্তীতে এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় ওই আত্মসমর্পণ করা আতঙ্কবাদী জানিয়েছে, সে চন্ডীগড় কলেজের বিটেক থার্ড ইয়ারের ছাত্র। করোনা আবহের কারণে বাড়ি ফিরে আসায় তাঁর এক বন্ধু তাঁকে আতঙ্কবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেয়। বন্ধুর পরামর্শ মত ২৫ শে সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে আতঙ্কবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সে জানায়, ভবিষ্যতে এই ধরণের আর কোন কাজ সে করবে না।
আত্মসমর্পণ করা আতঙ্কবাদীর সমস্ত বিবরণ জানার পর তাঁকে আরও একটি সুযোগ দেয় ভারতীয় সেনা। সম্মানের সঙ্গে তাঁকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাও করে দেয়।