বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়িতে কাজ করতে করতেই মালিকের মেয়ের সাথে প্রেম হয় ভৃত্যের! এমনকি, সেই ভৃত্যের সাথেই সম্পন্ন হল বিয়েও। এতটা পড়ে মনে হতে পারে যে কোনো সিনেমার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি আমরা। কিন্তু, সিলভার স্ক্রিনের এই গল্পই এবার ফুটে উঠেছে বাস্তবে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এহেন প্রেমের কাহিনি ভাইরালও হচ্ছে নেটমাধ্যমে (Social Media)। মূলত, পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) থেকে এই ঘটনাটি সামনে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অ্যানি নামের ওই যুবতী তথা বাড়ির মালকিন পাকিস্তানের ডিএইচএ (ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি)-তে থাকেন। একটি ইউটিউব ভিডিওতে, অ্যানি জানান যে, বাড়িতে তাঁর বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল এবং একজন পাত্রকেও বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ওই ছেলেটির সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন, ছেলেটি অত্যন্ত লোভী এবং তাঁদের সম্পত্তির প্রতি নজর রয়েছে তাঁর।
এমতাবস্থায়, অ্যানি তাঁর বাবা-মাকে তাঁদের পছন্দের পাত্র সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব উপলব্ধিটি জানান। পাশাপাশি অ্যানি আরও বলেছিলেন যে, তিনি এমন একজনকে বিয়ে করতে চান যিনি অর্থকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তাঁকেই ভালবাসবেন। অ্যানির ভাবনাকে সমর্থন জানান তাঁর বাবা-মাও।
চাকরকে দেন বিয়ের প্রস্তাব: অ্যানি জানান, ইশায়া নামের এক যুবককে বাড়িতে চাকর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তাঁর বাবা। ধীরে ধীরে তাঁর (ইশায়া) সাথে কথোপকথন শুরু হয় অ্যানির। পাশাপাশি, অ্যানি যখন রবিবার রান্না করতেন ইশায়া তাঁকে সাহায্য করতেন বলেও জানান তিনি। এমতাবস্থায়, দু’টি রবিবার যাওয়ায় পরে অ্যানি সরাসরি ইশায়ার উদ্দেশ্যে বিয়ের প্রস্তাব জানান। এমতাবস্থায়, এই প্রস্তাব পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান ওই যুবক। দু’দিন যাবৎ বিষয়টি ভেবে দেখার পর অবশেষে অ্যানির প্রস্তাব মেনে নেন তিনি।
বাবা-মাও রাজি: ইশায়ার ব্যাপারে মা-বাবাকে জানাতে গিয়ে অ্যানি প্রথমে ভয় পেলেও তিনি তাঁর পরিবারকে বিস্তারিতভাবে সবটা জানান। এমতাবস্থায়, অ্যানির কথা শুনে তাঁর বাবা রাজি হয়ে যান। মূলত, মেয়ের খুশির কথা ভেবেই তিনি আর আপত্তি করেন নি। পরে দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। শুধু তাই নয়, ইউটিউবে একটি সাক্ষাৎকারের সময়ে অ্যানি বলিউডের জনপ্রিয় রোমান্টিক গান “তুম জো আয়ে জিন্দগি মে বাত বান গেই…” গানটি ইশায়ার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
https://youtu.be/MA9q-b_5EFU
“প্রেমে টাকা দেখা উচিত নয়”: এই প্রসঙ্গে ইশায়া জানান, ভালোবাসায় টাকাকে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। অনেকেই গরিব মানুষ দেখলে তাঁদেরকে অবহেলা করেন। পাশাপাশি, তিনি অ্যানির বাবারও প্রশংসা করেন। এছাড়াও, অ্যানি জানিয়েছেন, বিয়ে করার সময়ে ধনী-গরিব না দেখে যেটা দেখা উচিত তা হল সামনের মানুষটি আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছেন কি না তা দেখা।