বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত-নেপাল (india-nepal) সীমান্তে নেপালি সেনারা পোস্ট আরও বাড়িয়েছে, এমনই খবর এসেছে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে। এই খবর পাওয়ার পর ভারতীয় সেনারা যথেষ্ট সতর্ক হয়ে গিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, নজরদারিও যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। মানাতান্দ ব্লকের সীমান্ত নেপাল সীমান্তে, তিহুকি-চেরগাহান, বালুয়া, মির্জাপুর, পান্ডেপুর, দাসাবাদ, বিষুনপুরওয়াতে অতিরিক্ত পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। এগুলি সমস্ত নেপালি পোস্ট সীমান্ত অঞ্চলের স্তম্ভ থেকে ১০০ গজ দূরে করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মানাতান্দ ব্লকের ইন্দো-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল সংলগ্ন ইনারাওয়া, বাসন্তপুর, ভাদিহারওয়া, দেবীগঞ্জ, নগরদেহে সামনের নেপালি সেনাবাহিনীর এই নতুন শিবিরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নেপালি এপিএফের অস্থায়ী শিবিরে চীন তৈরি একটি তাঁবুও তৈরি করা হয়েছে। ভারত-নেপাল উত্তেজনা, সীমান্তে চীন-তৈরি তাঁবুতে নেপালি সেনাবাহিনীকে দেখা গেছে, ভারত সেনাবাহিনীও সজাগ রয়েছে।
টিকুহির সামনে নেপালের চেরগাহান আউট পোস্ট হ’ল ভারতের ভাদিহরি গ্রাম। সেখানকার গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে, কয়েক বছর ধরে এখানে নেপালের কোনও ফাঁড়ি ছিল না। একটি নতুন ফাঁড়িও খোলা হয়েছে। তাঁবুতে চীনা ভাষায় কিছু লেখার বিজ্ঞপ্তি রয়েছে।
এসএসবি ৪৭ তম ব্যাটালিয়ন সিকতার পরিদর্শক অনিল কুমার বলেন যে, নেপালের আগে একটি অস্থায়ী পদ ছিল। বৃষ্টির কারণে তা বদলে যাচ্ছে। চীন তৈরি তাঁবু সম্পর্কে তথ্য তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্প তার ক্ষতি হয়েছিল। একই সময়ে চীন সহায়তা হিসাবে একটি তাঁবু সরবরাহ করেছিল। নেপালি সেনাবাহিনী বর্তমানে এটি বৃষ্টির বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসাবে ব্যবহার করছে। নেপাল সেনার এই সমস্ত পদ ইতিমধ্যে পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার সীতামারীতে আগত ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পান্ডে এসপির কাছ থেকে সীমান্তে আইন শৃঙ্খলা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি উভয় থানা প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এপিকে প্রশাসনিক কারণে অপসারণের কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাকেশ রঞ্জন এবং রাজকুমার গৌতমকে ১৪-১৫ মাসের মেয়াদে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সীমান্তে তোলপাড়ের পরে পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এপিএফ গুলিতে ভারতীয় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি বলে জানা যায়নি।