বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুন্দরবন (Sundarban) মানেই সেখানকার প্রধান আকর্ষণ হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। শুধু তাই নয়, সুন্দবনের জঙ্গলে দক্ষিণ রায়ের খানিক দেখা পেতেই রীতিমতো ভিড় জমান পর্যটকরা। এমতাবস্থায়, একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, তাদের খাদ্য সঙ্কট এড়াতে সুন্দরবনের গভীর ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ১০০ টি হরিণ ছাড়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য থেকে ১০০ টি হরিণ নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত সেগুলিকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোবাঁকি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। হরিণগুলিকে মাস দু’য়েক সুন্দরবনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হবে গহীন অরণ্যে। বনকর্তারা অনুমান করছেন যে, সম্ভবত জঙ্গলে খাদ্য সঙ্কটের কারণেই খিদের টানে বাঘগুলি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা লোকালয়েও প্রবেশ করে। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই জঙ্গলে হরিণ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
এদিকে, এর আগে বাঘ গণনা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেই সময়কার গণনা অনুযায়ী, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১২২ টি। এমতাবস্থায়, ২০২২-এ সারা দেশের পাশাপাশি সুন্দরবনেও নতুন করে বাঘ গণনার কাজ হয়েছে। সেখান থেকেই সুন্দরবনে ৩০ টি বাঘ বেড়েছে বলে মনে করছে অরণ্যভবন। মূলত, জঙ্গলের মধ্যে বসানো স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় ওঠা ছবিগুলিকে বিচার বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী বন দফতর। এদিকে, চার বছরে বাঘের সংখ্যায় এহেন বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারও “কোর টাইগার জোন” হিসেবে সুন্দরবনের আরও কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করতে চাইছে। শুধু তাই নয়, গত আড়াই-তিন বছরে পর্যটকরাও সুন্দরবনে গিয়ে প্রায়শই বাঘের দেখা পাচ্ছেন। সম্প্রতি একইসঙ্গে তিনটি বাঘ ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা সুন্দরবনে আগত পর্যটকদেরও আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে।
এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জাস্টিন জোন্স জানিয়েছেন যে, খুব সম্ভবত সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা খুবই ভালো খবর। পাশাপাশি, বাঘের আনাগোনাও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, সুন্দরবনের জঙ্গলে যাতে বাঘেদের কোনো প্রকার খাদ্য সঙ্কট না হয়, সেজন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ১০০ টি হরিণ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।