বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগেই বিরাট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে এই বিশ্বকাপের পর আর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না তিনি। কার্যত তখন থেকেই বিশেষজ্ঞরা অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্স খারাপ হলে আরও একটি অঙ্গরাজ্য হাতছাড়া হতে পারে বিরাটরাজের। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টির পর এবার কোহলির হাত থেকে চলে যেতে পারে ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করলেও গ্রুপ পর্বেই মুখ থুবরে পড়েছে ভারত। প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারের জেরে এই মুহূর্তে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভারতের সামনে। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর মেন ইন ব্লুর সাথে এমন অঘটন আর কখনও ঘটেনি। জানা গিয়েছে এই লজ্জাজনক হারের জেরে খুশি নয় বিসিসিআইও। তাই বিশ্বকাপ যদি খুব খারাপভাবে শেষ হয় ভারতের সে ক্ষেত্রে বিরাটের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়াও আশ্চর্যের কিছু নয়। অন্তত তেমনি জানিয়েছে বিসিসিআই সূত্র।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর মতে, একটি সূত্র তরফে জানানো হয়েছে, “বোর্ড এই মুহূর্তে অসন্তুষ্ট এবং এখন তার (বিরাট) ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া নিয়েও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।” রোহিত শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “কারো নাম বলা এখনই খুব তাড়াহুড়ো করা হয়ে যাবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হোক। শিগগিরই প্রধান কোচ হিসেবে দলে যোগ দিতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়ও। এ বিষয়ে তার সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।”
তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে যদি কোনভাবে পরবর্তী পর্যায়ে জন্যে কোয়ালিফাই করে যায় ভারত। যদিও তার জন্য একদিকে যেমন নিজেদের তিন ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে মেন ইন ব্লুকে, তেমনই ভরসা করে থাকতে হবে আফগানিস্তানের উপরেও। একমাত্র আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে ক্ষেত্রেই ভারতের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভাবনা তৈরি হবে। কার্যত এক্ষেত্রে দুধের শিশুর উপর নির্ভর করে বড় যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন দেখতে হবে ভারতকে। বাস্তব বিচারে যা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। তাই বিরাটের একদিনের ম্যাচের অধিনায়কত্ব হারানোর সম্ভাবনা যথেষ্টই রয়েছে।