বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস (bus) নামালেও, উঠছে না তেলের দাম। যা টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তাতে বাসের জ্বালানির দাম উঠছে না বলেই দাবি করেছেন বাস মালিকরা। সেই কারণে এবার সমস্ত রুটেই কমছে সরকারি-বেসরকারি বাসের সংখ্যা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরটিও (RTO)-র পক্ষ থেকে সমস্ত রুটের বাস সংগঠনকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর্তমানে কোন রুটে ঠিক কত পরিমাণ বাস চলছে?’ শুধু চিঠিই নয়, সেইসঙ্গে এই বিষয়ে পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা এক বৈঠকও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
পরিবহণ দপ্তরসূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় চলমান বাসের সংখ্যা আগের থেকে বর্তমান সময়ে অনেকটাই কমে গিয়েছে। বেসরকারির পাশাপাশি সরকারি বাসের সংখ্যাও কমেছে। দুপুর এবং রাতের দিকে যে রুটে বাসের চাহিদা কম থাকে, সেদিকে কমানো হয়েছে বাস।
তবে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করছে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। শুধু টিকিট বিক্রির টাকা থেকে তেলের দাম হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছে তাঁরা। পূর্বে সিএসটিসি-র প্রথম ট্রিপে বাস রাস্তায় নামত পাঁচশো থেকে সাড়ে পাঁচশো। আর বর্তমান সময়ে একশো থেকে একশো দশে নেমেছে। বাসের সংখ্যা আরও কমছে দ্বিতীয় ট্রিপে। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, আগে সিএসটিসি-র টিকিট বিক্রি করে সোম থেকে শুক্রবার আয় হত ২৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তা বর্তমানে কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪-১৫ লক্ষ টাকা এবং শনি রবিবার তা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। আগে একটি ট্যাঙ্কারে থাকা ১২০০০ লিটার তেলের দাম ছিল আট থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা। কিন্তু এখন তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। আবার প্রতি সপ্তাহে লাগছে ২৩ ট্যাঙ্কার তেল। সব মিলিয়ে তেলের দামের সঙ্গে পেরে উঠছে না বাস মালিকরা। তাই বাস কম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।