বাংলা হান্ট ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ভারতের (India) সাথে কানাডার (Canada) সম্পর্ক প্রভাবিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। কিন্তু, এবার একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। মূলত, জাস্টিনের ওপর ভরসা রাখছেন না তাঁরই দেশের মানুষ। ইতিমধ্যেই এক সার্ভেতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ওই সার্ভেতে জানা গিয়েছে, কানাডার দুই-তৃতীয়াংশ মত প্রদানকারী মানুষ চান জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করুন। এর পাশাপাশি, প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, দেশে ফেডারেল নির্বাচন আগামী বছর হওয়া উচিত। যদিও, কানাডায় ২০২৫ সালে নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত রবিবার IPSOS দ্বারা পরিচালিত সার্ভের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
সার্ভেতে ৫৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আগামী বছরই নির্বাচন হওয়া উচিত। এছাড়া ৬৯ শতাংশ মানুষ চান জাস্টিন ট্রুডো নির্বাচনের আগে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করুন। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৬৩ শতাংশ জনগণ এটাও স্বীকার করেছেন যে জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করবেন না। মূল্পট, জাস্টিন ট্রুডোও সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। তিনি কানাডিয়ান প্রেস নিউজ এজেন্সিকে বলেন, “আপনি এটা বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু আমি কোনো লড়াই করতে চাই না। আমি কোথাও যাচ্ছি না।”
আরও পড়ুন: সংসার চালাতে বাবা বিক্রি করতেন খৈনি, আর্থিক অনটনেই চলেছে পড়াশোনা, আজ IAS হয়ে স্বপ্নপূরণ নিরঞ্জনের
এদিকে, এই বিষয়েও চর্চা চলছে যে, জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ তার লিবারেল পার্টির জন্য আদৌ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে কি না? সাম্প্রতিক এক সার্ভেতে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিক থেকে লিবারেল পার্টি কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে পিছিয়ে আছে। এই পরিস্থিতি লিবারেল পার্টিকেও চিন্তিত করেছে। এমতাবস্থায়, ওই পার্টি যদি জাস্টিন ট্রুডোর পরিবর্তে অন্য কোনো মুখ সামনে রাখে তবে তাদের পক্ষে বিষয়টি সামলানো কঠিন হবে। এদিকে, তাঁকে বহাল রাখলে জনমত বিবেচনায় সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হবে। আর এইভাবে জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে লিবারেল পার্টি।
আরও পড়ুন: স্নাতক পাশ হলেই এবার দুর্দান্ত বেতনের চাকরির সুযোগ, জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে ডেপুটি পিএম ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী মেলানি জলি, ফ্রান্সিস ফিলিপ শ্যাম্পেন এবং ভারতীয়-কানাডিয়ান অনিতা আনন্দের নাম রয়েছে। এছাড়াও, দু’টি ব্যাঙ্কের গভর্নর মার্ক কার্নির নামও সামনে রাখা হচ্ছে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু ম্যাকডুগাল জানিয়েছেন, জাস্টিন ট্রুডো সহজে পদত্যাগ করার কোনো মুডে আছেন বলে মনে হচ্ছে না। তাঁর সমর্থকরা বলছেন, নির্বাচনে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হলেও জাস্টিন ট্রুডো এখনও দলের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ।