১৩০ কিমি স্পিড, ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় আগুন লাগল বিমানে! ফেঁসে ১২২ যাত্রী, ভাইরাল ভিডিও

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি প্রত্যক্ষ করে রীতিমতো চমকে যান সবাই। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসেছে। যেটিতে দেখা গিয়েছে মাঝ আকাশে আচমকাই আগুন লেগে গিয়েছে যাত্রীবাহী বিমানে। মূলত, ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে থাকা ওই বিমানটিতে আচমকাই আগুন লেগে যায়।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই ভয়াবহ অবস্থাতেই বিমানে আটকে পড়েন ১২২ জন। পাশাপাশি, আগুনের গ্রাসে জ্বলতে থাকা ওই বিমানটিকে দ্রুত নিচে নামতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। তবে, শেষ পর্যন্ত পাইলটের তৎপরতায় রক্ষা পায় ১২২ জনের প্রাণ। মৃত্যুকে রীতিমতো কাছ থেকে উপলব্ধি করেন ওই বিমানের যাত্রীরা। আর এই ভিডিওটিই এখন ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাখির সাথে ধাক্কার কারণে আগুন: এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত ১০ জানুয়ারি জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানে ১২২ জন যাত্রী ছিলেন। জাপানের রাজধানী টোকিওর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড়ান শুরু করে। যেটির দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।

আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের হাত ধরে আরও চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি! উদ্বোধনেই হতে পারে ১,০০,০০০ কোটির ব্যবসা

এদিকে, আচমকাই একটি পাখি বিমানের ডান ইঞ্জিনে ধাক্কা মারলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। এরপর ইঞ্জিন থেকে আগুন বের হতে থাকে। সেই সময়ে এক যাত্রী জানালা থেকে এটি দেখে ভিডিও করেন। তবে, ওই দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সামগ্রিক দৃশ্যটি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ।

আরও পড়ুন: আরে বাহ! এবার মাত্র 288 টাকায় মিলবে 120GB ডেটা, 2 মাসের জন্য খতম রিচার্জের টেনশন

পাইলট জরুরি অবতরণ করেন: মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই অবস্থায় পাইলট প্রথমে একটি নরম্যাল ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে তিনি ইমারজেন্সি ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেন। বিমানটিকে ওই অবস্থায় দেখে অনেকে ভিডিও করতে থাকেন। এদিকে, বিমানে থাকা এক যাত্রীও পুরো ঘটনার ভিডিও করেছেন এবং ওই দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, তাঁর হাত কাঁপছিল। তিনি বলেন, “আমার পরিবার একটি শব্দও বলতে পারেনি, তাই আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম যে আমি এবং আমার পরিবার বাঁচতে পারব না। বিমান থেকে আগুনের লেলিহান শিখা এমনভাবে বের হচ্ছিল যে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটতে পারত। কিন্তু ভাগ্যক্রমে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।”

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X