বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বামন (Dwarf) হওয়ার অপরাধে স্কুলে হাসির খোরাক হতে হল অস্ট্রেলিয়ার (Australia) এক স্কুল পড়ুয়াকে। নিজের সহপাঠীদের থেকে এহেন অপমানের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সেই শিশুটি। শিশুটির মায়ের করা একটি ভিডিওতে (Video) তোলপাড় হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিশুটির পাশে এসে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে হলিউডের নানান দেশের তাবড় তাবড় তারকারা।
মানুষ যে কতটা নৃশংস্য হতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল অস্ট্রেলিয়ার এই ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার এই শিশু শারীরিক দিক থেকে কিছুটা ছোট। তাঁর দৈহিক গঠন আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। অস্ট্রেলিয়ার বামন কোয়াডেনের (Quaden) বয়স মাত্র ৯ বছর। সে তাঁর সহপাঠীদের থেকে কিছুটা ছোট হওয়ার দরুন, তাকে নিয়ে সব সময়ই হাসাহাসি করত তাঁর বন্ধুরা। স্কুলের বন্ধুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সে।
‘এই ভাবে আর বাঁচে থাকতে চাই না’ বলে সে তাঁর মায়ের কাছে অভিযোগ করে। সব সময় সমবয়সি বন্ধুদের হাসির খোরাক হয়ে আর বেঁচে থাকতে চায় না সে। কাঁদতে কাঁদতে সে তা মাকে বলে,’আমি আর বেঁচতে চাই না। একটা দড়ি দাও আমাকে মরার জন্য। আমি ছুরি দিয়ে নিজেক ক্ষতবিক্ষত করে ফেলব। আমি চাই এখনই আমাকে কেউ মেরে ফেলুক।’ তাঁর মায়ের এই ভিডিও ভাইরাল (Vairal) শোরগোল পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। কোয়াডেনের মা বেলিস ভিডিওতে বলছিলেন, ‘মা হিসেবে আমিও ব্যর্থ! আমার মনে হয় এই ঘটনায় শিক্ষাব্যবস্থাও ব্যর্থ।’
জাতীয় রাগবি দল শিশুটিকে তাঁদের কাছে আমন্ত্রণ জানায়। মার্কিন কমেডিয়ান ব্র্যাড উইলিয়ামস ( Brad Williams) এই ঘটনায় সহমর্মিতা জানিয়ে শিশুটিকে অর্থ সহযোগিতার কথা বলেন। কোয়াডেনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লাখ ডলার জমা পড়ে গেছ।
অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান (Hugh Jackman) কোয়াডেনকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে তাকে শক্ত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। ভেঙে পড়া ছোট্ট এই শিশুর মনোবল বাড়িয়ে তোলার জন্য ক্যালিফর্নিয়ায় (California) র্যালিতেও নেমে পড়েন কয়েকজন সেলেব। পাশাপাশিই অর্থ সংগ্রহ করে ডিজনিল্যান্ডে (Disneyland) তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ায় ব্যবস্থাও করা হয়। এ ছাড়াও তাকে ওয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সিইও ছাত্রী সিটিয়োডটং মার্শিয়াল আর্টস ট্রেনিং দেওয়ার কথাও বলেছেন।