বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরে টাটা গ্রুপের (Tata Group) গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি টাটা টেকনোলজিসের (Tata Technologies) শেয়ারের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওই শেয়ারটি। তারপরেই রীতিমতো নজির তৈরি হয়েছে।
মূলত, বৃহস্পতিবার দালাল স্ট্রিটে টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের শেয়ার একটি দুর্দান্ত সূচনা করেছে। সেটি NSE (ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ)-তে ১,২০০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। যা ৫০০ টাকার ইস্যু মূল্যের চেয়ে ১৪০ শতাংশ বেশি ছিল। উল্লেখ্য যে, প্রায় ১৯ বছর পরে টাটা টেক ছিল টাটা গ্রুপের প্রথম IPO। এর আগে ২০০৪ সালে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের IPO এসেছিল।
টাটা টেকের শেয়ার ১,৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে:
জানিয়ে রাখি যে, BSE এবং NSE স্টক এক্সচেঞ্জে টাটা টেকোনোলজিসের শেয়ার ১,৪০০ টাকায় পৌঁছে যায়। যা টাটা গ্রুপের কোম্পানির IPO মূল্যের চেয়ে ১৮০ শতাংশ বেশি। এদিকে, এই তালিকাভুক্তির ২ ঘণ্টা পরই, টাটা টেকের প্রতিটি শেয়ার পৌঁছে যায় ১,৩৩৬.৩ টাকা অর্থাৎ, প্রায় ১৬৭ শতাংশের প্রিমিয়াম।
আরও পড়ুন: ৩ টি প্রজন্মকে খাইয়েছে দুধ! প্রিয় মহিষের মৃত্যুতে শেষকৃত্যর পর ভোজের আয়োজন শোকস্তব্ধ পরিবারের
BSE-তে স্টকের মুভমেন্ট:
টাটা টেকের শেয়ারের লিস্টিংয়ে কারণে, কোম্পানির ভ্যালুয়েশন বেড়েছে ৫৩,০৬৩ কোটি টাকা। তালিকাভুক্তির পরপরই, BSE-তে টাটা টেকনোলজিসের শেয়ার ১৬ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ১,৪০০ টাকায় পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: আজই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়, প্রভাবিত হবে ইন্টারনেট পরিষেবা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
এদিকে, এই প্রসঙ্গে জি বিজনেসের ম্যানেজিং এডিটর অনিল সিংভি জানিয়েছেন, বড় লিস্টিংয়ের লাভ এবং লং টার্মের জন্য এখানে অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন যে, শর্ট টার্ম ট্রেডার্সদের জন্য ৮৭৫ টাকার স্টপ লস সেট করা উচিত। তবে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই এই স্টকটি তাদের পোর্টফোলিওতে ২ থেকে ৩ বছরের জন্য রাখতে হবে।