বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতে নতুন বছরের শুরু থেকেই অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সবার পকেটে টান পড়তে চলেছে। আগামী মাস থেকে অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ লা জানুয়ারী থেকে সাধারণ মানুষকে অনেক কিছুর উপর ক্রমবর্ধমান করের মুখোমুখি হতে হবে। জেনে নিন নতুন বছরে মুদ্রাস্ফীতি আপনাকে কতটা অসুবিধায় ফেলতে পারে। জামাকাপড় এবং জুতো, ঘড়ি কেনা থেকে শুরু করে অনলাইনে খাবার অর্ডার করা, এটি খুব ব্যয়বহুল হতে চলেছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে রেডিমেড পোশাকের উপর জিএসটি-এর হার ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ হবে। বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মতে জিএসটি রেট বাড়ার ফলে খুচরো ব্যবসার ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়বে। রেডিমেড ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জিএসটি বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন। তবে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে এখনই পিছু হটতে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছর থেকে তৈরি পোশাক কিনতে গ্রাহকদের বেশি খরচ করতে হবে।
সাধারণ মানুষের কাছেও জিএসটির হার বৃদ্ধির খবরটা আনন্দের নয়। একেই লকডাউনের ফলে মানুষের কাজের অবস্থা খারাপ। তার ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা। এখনও পর্যন্ত ১,০০০ টাকা পর্যন্ত দামের জুতোর ৫ শতাংশ জিএসটির আওতায় আসে। এছাড়া চামড়ার ওপর ১২ শতাংশ কর আরোপ করা হয়। সত্যি কথা বলতে জুতো, পোশাক এবং সারের উপর শুল্ক কাঠামোর পরিবর্তন গত বছরের জুনেই করার কথা ছিল কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
জামাকাপড় এবং জুতো ছাড়াও, আপনি যদি অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে অভ্যস্ত হন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর। ১ জানুয়ারি থেকে থেকে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে খাবার অর্ডার করলেও কোম্পানিগুলিকে ট্যাক্স দিতে হবে। নতুন বছর থেকে ফুড ডেলিভারি অ্যাপেও ৫ শতাংশ জিএসটি লাগবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কোম্পানির ওপর চাপ বাড়ানো হলে কোম্পানিগুলো কোনো না কোনোভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করে নেয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছরটা চিন্তার হতে চলেছে সকলের কাছে।