বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমশ চিন্তা বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” (Cyclone Remal)। রবিবার সমগ্র পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ওই বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, টেলিকম ইত্যাদির মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে বলেছেন এবং ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের পর্যাপ্ত সঞ্চয় নিশ্চিত করার বিষয়টিতেও নজর দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় “রেমাল”। IMD দ্বারা জারি করা একটি আপডেট অনুসারে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
Reviewed the preparedness in the wake of Cyclone Remal. Took stock of the disaster management infrastructure and other related aspects. I pray for everyone’s safety and well being. pic.twitter.com/JW4iybKS5g
— Narendra Modi (@narendramodi) May 26, 2024
“রেমাল” নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী: IMD জানিয়েছে যে, এটি আরও তীব্র হতে পারে এবং সাগরদ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সেই সময়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাশাপাশি মধ্যরাতে এই গতি 1১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! ১ জুনের আগে এই কাজটি না করলেই আর মিলবে না LPG সিলিন্ডার
আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের গতি ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পৌঁছতে পারে। যেখানে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে। পাশাপাশি এই বাতাস সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে বইতে পারে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির জাদুতে মালামাল বিনিয়োগকারীরা! মাত্র ৫ দিনেই হল ৬০,০০০ কোটির মুনাফা
বাংলায় শুরু বৃষ্টি: নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০ থেকে ৭০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এই গতি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে যে, দক্ষিণের জেলাগুলির বাকি অংশগুলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। এদিকে, ২৬ থেকে ২৭ মে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগণার উপকূলীয় জেলাগুলির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। যেখানে কিছু এলাকায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে কলকাতা বিমানবন্দর ২১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল হয়েছে প্রচুর ট্রেন। এদিকে, বাংলার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।