বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেরল এবং পাঞ্জাবের পথে এবার হাঁটতে পারে পশ্চিমবঙ্গও। নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও, এমনটাই ইঙ্গিত দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকি মমতা একথাও বলেছেন, সব রাজ্যই উচিত বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হওয়া।
এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হবে, তারা রাজী থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পাস হয়ে যাবে সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব।
প্রসঙ্গত, কেরল সরকার প্রথম এই প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সিএএ আইন অসাংবিধানিক! এরপর তারা এমনকি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে, যা সিএএ বিরোধিতায় এক নজিরবিহীন ঘটনা। ইতিমধ্যেই ৬০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
এরপর দিনদুয়েক আগে পাঞ্জাবের বিধানসভায় পাস হয়েছে সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব। তাদের বক্তব্য, সিএএ আইন বৈষম্যমূলক, যা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিকে নষ্ট করে দেবে।
সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে প্রথম থেকে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দেশে যেমন বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনি অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এই বিরোধিতার আবেদন করেছেন। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির উদ্দেশে তিনি আরও সমযোজন করেছেন. এইপিআর আসলে এনআরসি-কেই ঘুরপথে আনতে চলেছে। দেশের সব রাজ্য কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর-এর বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও বাংলার কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। এনপিআর, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে নিজের অবস্থানে যেমন কেন্দ্র অনড়, তেমনি তার লাগাতার বিরোধিতা চালিয়ে যেতেও দৃঢ় সংকল্প নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।