বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেসরকারিকরণ হতে চলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি? আপাতত এই প্রশ্নেই তোলপাড় রাজ্য। স্কুলগুলির বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে স্কুলগুলির পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে চলার জল্পনা।
বিগত দুবছর ধরে বন্ধ ছিল রাজ্যের স্কুলগুলি। সম্প্রতি খোলার পর দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে ছাত্রসংখ্যা। জানা যাচ্ছে এখনও অবধি রাজ্যের প্রায় ৭৯টি জুনিয়ার হাই স্কুল এবং হাইস্কুলের গেটে তালা ঝুলেছে। স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করা হয়েছে অন্যত্র। এরপরই খসড়াটি সামনে আসে।
খসড়ায় বলা হয়, জমি-বাড়ি ও অন্যান্য পরিকাঠামো গুলি দেবে রাজ্য সরকার। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা পিপিপি মডেলে সেখানে স্কুল গড়ে তুলবেন। এভাবে বাংলা এবং ইংরাজি দুই মাধ্যমের স্কুল গড়ে তোলার কথাই বলা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলিই ঠিক করবে কোন বোর্ডের অধীনে চলবে স্কুলটি এবং ফি কত হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগও করবে ওই সংস্থাই। শুধু তাইই নয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ বদলে প্রিন্সিপাল বা ডিরেক্টর এবং স্কুল পরিচালন কমিটি বদলে বোর্ড অফ ডিরেক্টর করার কথাও বলা হয় ওই খসড়াতে। এহেন খসড়া দেখে কার্যতই ঘাবড়ে যান অভিভাবকরা।
সমালোচনার ঝড় ওঠে বিরোধী মহলেও। সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, গত ২ ডিসেম্বর নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সারেন আদানি গোষ্ঠির প্রধান গৌতম আদানি। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি আবারও নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারেন আদানি পুত্র করণ আদানি। এই সময়েই শিক্ষাক্ষেত্র বেসরকারিকরণে আদানি গোষ্ঠির বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা সারেন তাঁরা।
যদিও পুরো ব্যাপারটিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে যে খসড়াটি প্রকাশ্যে এসেছিল সেই খসড়াটিতে কোনো সরকারি নির্দেশিকার নম্বর বা নির্দেশিকা প্রকাশের দিনক্ষণের উল্লেখ নেই। এমনকি কোনও সইও নেই সেখানে। যার ফলেই খসড়াটি সম্পুর্ণ ভুয়ো বলেই দাবি শিক্ষা দপ্তরের।