বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসকে রুখতে প্রয়োজনীয় মাস্ক (Mask) বানিয়ে মানুষকে সাহায্য করলেন সরদার জি। নিজের ১১ টি নতুন পাগড়ি কেটে বানিয়ে ফেললেন মাস্ক। যা বিলি করলেন, গ্রামের মানুষদের মধ্যে। এই কাজে সাহায্য করছেন গ্রামের বাসিন্দা কুসুম।
লকডাউনের (Lockdown) মধ্যে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। কখনও সাধারণ মানুষ নিজেরাই রান্না করে খাইয়েছেন দিন আনে দিন খাওয়া মানুষদের, তো আবার কখনও এগিয়ে এসেছেন সমাজের তথাকথিত শীর্ষ স্থানীয় মানুষেরা।
নিজের পাগড়ি কেটে তৈরি করলেন মাস্ক
লকডাউনের মধ্যে সবকিছু বন্ধ থাকায় মন্দির জেলার সুন্দরনগরের কানাদ গ্রামের বাসিন্দা সরদার অমরজিৎ সিং ঠিক করলেন নিজের পাগড়ি কেটেই তৈরি করবেন মাস্ক। যেমন ভাবা তেমনই কাজ, নতুন ১১ টি পাগড়ি কেটে ১ হাজারেরও বেশি বানিয়ে ফেললেন করোনা রোধী মাস্ক। তিনি রেড ক্রস সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
বিলি করলেন গ্রামবাসীদের মধ্যে
করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের কাছে মাস্ক এবং স্যানেটাইজার ঠিক মতো পৌঁছাতে পারেনি। সেই সময় লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় নতুন কাপড় কিনতে অসমর্থ হন তিনি। সেই সময় কোন উপায় না পেয়ে তিনি নিজের ১১ টি পাগড়ি কেটে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি মাস্ক বানিয়ে জনগণের মধ্যে ভাগ করে দিলেন।
দুঃস্থ মানুষদের সেবা করলেন তিনি
রেড ক্রস সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক সরদার অমরজিৎ সিং এই মাস্ক গবীর, দুঃস্থ এবং আশেপাশে মানুষদের মধ্যে বিলি করেছেন। তাঁর উদ্যেশ্য ছিল, যাদের কাছে এই সংকটের সময়ে মাস্ক কেনার অর্থ নেই, তাঁদের কাছে মাস্ক পৌঁছে দেওয়া। পরবর্তীতে লকডাউন লাগু হওয়ায় কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় এনেও তিনি মাস্ক বানাতে থাকেন। তিনি জানান, যতদিন না করোনা ভাইরাস পৃথিবী থেকে সরে যাচ্ছে, ততদিন তিনি এই মাস্ক বানিয়ে বিলি করে যাবেন।