ফাইনাল জেতার আশা শেষ মোহনবাগানের? চার ম্যাচ নির্বাসিত তারকা খেলোয়াড়, মাথায় হাত সমর্থকদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ISL (Indian Super League)-এ গত রবিবারে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ঘরের মাঠে অর্থাৎ যুবভারতীতে ওড়িশাকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে মোহনবাগান এসজি (Mohun Bagan Super Giant)। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ছিল মোহনবাগান। যদিও, এবার সব আনন্দ কার্যত হয়ে গেল মাটি। কারণ, ইতিমধ্যেই ফেডারেশনের তরফে বড় ধাক্কা দেওয়া হল।

যার ফলে ISL-এর ফাইনাল খেলতে নামার আগেই বড় চিন্তা গ্রাস করল মোহনবাগানকে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সেমিফাইনালে প্রথম লেগে আর্মান্দো সাদিকু লাল কার্ড দেখে ফেলার কারণে এমনিতেই দ্বিতীয় লেগে খেলতে পারেননি। কিন্তু এবার তিনি ফাইনাল থেকেও ছিটকে গেলেন। জানা গিয়েছে যে, রেফারির সঙ্গে বচসা এবং অশালীন ভাষা ব্যবহারের কারণে তাঁকে চার ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত সোমবার ফেডারেশনের তরফে এই রায় জানিয়ে দেওয়ার পরেই বিরাট ধাক্কা খেয়েছে সবুজ-মেরুন।

The star player of Mohun Bagan was Suspended for four matches.

অনুমান করা হচ্ছে যে সাদিকুকে ফাইনাল ম্যাচে না পাওয়ায়, তিনি হয়তো মোহনবাগানের হয়ে শেষ ম্যাচটি ভুবনেশ্বরেই খেলে ফেলেছেন। কারণ তাঁর সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে আরও এক বছর মোহনবাগানে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। কারণ, সাদিকুর সঙ্গে হয়তো নতুন করে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট নতুন করে চুক্তি করতে নাও পারে।

আরও পড়ুন: আপনার কাছ থেকে ব্যাঙ্ক আর নিতে পারবে না চড়া সুদ! কড়া অ্যাকশন নিয়ে নির্দেশ জারি RBI-এর

এদিকে, এমন কিছু যে হতে পারে তার একটা আঁচ একদিন আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ, ওড়িশাকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর সাদিকু জানান, তাঁকে হয়তো তিন থেকে চার ম্যাচ নির্বাসিত করা হতে পারে। এমতাবস্থায় সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হল।

আরও পড়ুন: ম্যাচের পর ওড়িশার ফুটবলাররা মারতে গিয়েছিলেন মোহনবাগান অধিনায়ককে! উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

কারণ, এই আলবেনিয়ান স্ট্রাইকার শেষ পর্যন্ত শাস্তির হাত থেকে রেহাই পেলেন না। যার ফলে নির্বাসনের জেরে কার্যত চলতি মরশুম শেষ হয়ে গেল সাদিকুর। শুধু তাই নয়, শনিবার ফাইনালের মহা ম্যাচে সাদিকুকে না পাওয়ার বিষয়টি সবুজ-মেরুনের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হয়ে থাকল।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর