‘পিকের কারণেই দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, এত টাকা কে দিচ্ছে?’ ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে (prashant kishore) বেশ কিছুদিন ধরেই দলের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের অনেক বর্ষীয়ান নেতারাই এই পিকের টিমের কাজকর্মকে প্রাধান্য দিতে চাইছেন না। এবার এই পিকের টিমের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের মাঠে কামান দাগলেন হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি (jatu lahiri)।

পিকে কে মানতে পারছেন না অনেকেই
একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোলেও শাসক দলের দল মধ্যেকার অন্তর্দ্বন্ধ বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। কখনো দলনেত্রীর কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন দলীয় নেতারা, আবার কখনো তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে মেনে নিতে পারছেন না দলের বর্ষীয়ান নেতারা। তাদের অনেকেরই মত, ‘আমাদের এখন এই বয়সে এসে পিকের থেকে রাজনীতি শিখতে হবে?’

bbbknk

অপমানিত বোধ করছি বললেন বর্ষীয়ান বিধায়ক
অনেক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার মতই পিকের টিমকে আর মেনে নিতে পারছেন না হাওড়ার শিবপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি। পিকের টিমের প্রতি নিজের যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বললেন, ‘তৃণমূল দলে মমতা ব্যানার্জীর পর আর কাউকে দরকার পড়ে না। ওনার একার ক্ষমতাতেই দল ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু আচমকাই একদিন পিকের টিম এখানে এল, আর ওদেরকেই দেওয়া হল ভোট পরিচালনার দায়িত্ব। একদিন একটা ছেলে এবং একটা মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে এসে বললেন মিছিল করতে হবে। ওদের কথার প্রাধান্য দিয়ে প্রথম দিকে রাত জেগে অনেক কর্মসূচী করেছি, অনেক কাজও করেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি নিজেই অপমানিত বোধ করছি’।

পিকে আসায় দলের ক্ষতি হয়েছে
পিকের বিরুদ্ধেই শুধু ক্ষোভ উগরে থেমে গেলেন না তিনি। পিকের টিমের মোটা মাইনের বিষয়েও মুখ খুললেন এই শিবপুরের বিধায়ক। তিনি বললেন, ‘পিকের টিম থেকে যে মহিলা আসতেন আমার কাছে, ওনার বেতন শুনেছি ৪৫ হাজার টাকা এবং আর একটি যে ইয়ং ছেলে আসত, ওঁর বেতন নাকি ৩০ হাজার টাকা। এতো টাকা কে দিচ্ছে? এদের কাউকেই তো কোন প্রয়োজন ছিল না। শেষের দিকে আমি ওদের বলতাম, কিছু বলার থাকলে জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে গিয়ে বলতে পার। ওদের নির্দেশ আমি আর শুনতাম না। মমতা ব্যানার্জী একাই ঠিক ছিলেন। পিকে আসায় দলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর