বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে গ্লোবাল কারেন্সি হিসেবে ডলারের (Dollar) আধিপত্য বজায় রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এর ফলে একাধিক দেশের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর সেই কারণেই ওই দেশগুলি নতুন পথ খুঁজছে। যার ফলে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে ডলার। এদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দেশ ডলারের থেকে ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবার তারা ডলারের বদলে ভারতীয় রুপি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতেই ভারতীয় রুপিকে গ্রহণ করবে ওই দেশ। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে?
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই লাভবান হবে। শুধু তাই নয়, উভয় দেশেরই ক্রস বর্ডার লেনদেনের খরচ কমে যাবে। আসলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে বোঝা কমাতেই বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কি জানা গিয়েছে: ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের ২ টি ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই ভারতীয় রুপিতে ব্যবসায়িক লেনদেন করার পরিকল্পনা করছে। এদিকে, বাংলাদেশের ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক এর জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ICICI ব্যাঙ্কে নস্ট্রো অ্যাকাউন্টও খুলেছে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে, ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক ১১ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবারই এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাঙ্ক সোনালী ব্যাঙ্কও এই একই ধরণের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হল এমন একটি অ্যাকাউন্ট যেখানে একটি ব্যাঙ্ক অন্য দেশের ব্যাঙ্কে সেখানকার দেশের মুদ্রায় লেনদেন করে। এই ধরণের অ্যাকাউন্টগুলি বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়।
এই কারণে নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত: মূলত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ক্রমাগত ডলারের সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। এর ফলে ওই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩১.৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই কারণেই বাংলাদেশের মুদ্রার হারও ক্রমাগত কমছে। এদিকে, চিনের পর বাংলাদেশ সবথেকে বেশি আমদানি করে ভারত থেকে। সেই কারণেই বাংলাদেশ এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।