বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে লটারির (Lottery) দৌলতে কোটিপতি হওয়ার ঘটনা আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। এমনকি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এহেন ঘটনা সামনে আসে। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি শোনার পর রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যাবেন প্রত্যেকেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে থাইল্যান্ডের (Thailand) এক ব্যক্তি লটারিতে নগদ কোটি টাকা জিতেই রীতিমতো বিপদ ডেকে এনেছেন।
মূলত, ওই ব্যক্তিটি লটারিতে ৬০ লক্ষ বাহত (Thai Baht) অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা জিতে যান। কিন্তু ওই টাকা পাওয়ার পরই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তাঁর স্ত্রী। এদিকে, তাঁরা ২৬ বছর যাবৎ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকার পরেও এহেন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, প্রথমে বিষয়টি শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এবার এই ঘটনাই সামনে এসেছে।
হতভাগ্য ওই ব্যক্তির নাম হল মনিত। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছিলেন যে, ওই বিপুল টাকার কিছুটা অংশ তিনি একটি মন্দিরে দান করবেন এবং তারপর পরিবারের মধ্যে টাকা ভাগ করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। এমতাবস্থায়, মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই তাঁর স্ত্রী নিজের একটা বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন প্রেমিক: জানা গিয়েছে মন্দিরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মনিত এমন একজনকে দেখেছিলেন যাঁকে তিনি চিনতেন না। তাই তিনি তাঁর স্ত্রী আংকানারাতকে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করেন। যাঁর উত্তরে তাঁর স্ত্রী বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়। কিন্তু বাস্তবে অপরিচিত ব্যক্তিটি ছিলেন আংকানারাতের প্রেমিক। এমতাবস্থায়, সুযোগ বুঝে নগদ টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
২৬ বছরের বিবাহিত জীবন, রয়েছে ৩ সন্তানও: এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁরা এই বিষয়ে মনিতকে সাহায্য করতে পারছে না। কারণ ২৬ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করার পাশাপাশি তাঁদের তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও তিনি এবং আংকানারাত কোনো ম্যারেজ সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেন নি। এদিকে, মনিত জানান যে তাঁর স্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তের আগে সম্পর্কের কোনো সমস্যা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। পাশাপাশি, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল বলেও জানান তিনি।
মায়ের এই পরিকল্পনা জানত ছেলে: যদিও, এই প্রসঙ্গে মনিতের ছেলে পুলিশকে জানিয়েছে যে, সে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে এবং সে তার মায়ের সাথেও যোগাযোগ করেছে। কিন্তু ততক্ষণে আংকানারাত চার ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে অনেকটাই এগিয়ে যান। এমতাবস্থায়, পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা কিছুই করতে পারবে না। বিষয়টি এমন হয়ে গিয়েছে যেখানে মনে হচ্ছে মানিত আংকানারাতকে যেন টাকাটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজি করানোটাই মানিতের কাছে বিকল্প ছিল।