বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (Chaina) উহান (Wuhan) শহরের প্রাণঘাতী রোগ করোনা ভাইরাসকে (COVID-19) নিয়ে বিশ্ব এখন দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। একদিকে চীন, সিরিয়া, রুশ, আরব দাবী করছে যে করোনা ভাইরাসের পিছনে আমেরিকার (America) ভূমিকা রয়েছে। আবার অন্যদিকে আমেরিকা এবং ইজরায়েল দাবী করছে চীনের ল্যাবে এই মারণরোগ সৃষ্টি হয়েছে। চীনের উহানে রয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি ন্যাশালান বায়ো সেফটি ল্যাব। এই ল্যাবরেটরি উহানের সিফুড মার্কেট থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত। এই সিফুড মার্কেট থেকেই প্রথম করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়।
চীনের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি ন্যাশালান বায়ো সেফটি ল্যাবে ইবোলা, নিপা, সার্স এবং অন্যান্য মারণঘাতী ভাইরাস নিয়ে রিসার্চ করা হয়। জানুয়ারীতে এই ল্যাবের বিজ্ঞানীরা মাইক্রোস্কোপে এক নতুন ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পান, যা আগে কখনও দেখেননি। এই ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন, সেটা অনেকটা বাঁদুরের মতো দেখতে।
এই করোনা ভাইরাসের আবার সার্স ভাইরাসের সঙ্গে মিল ছিল। যে সার্সের ফলে ২০০২ এবং ২০০৩ সালে চীনে মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। সমগ্র বিশ্বে ৭০০ এরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সার্সেরও রোগ লক্ষণ ছিল করোনার মতই। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ, হাঁচি, কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু তখন চীন ওই ভাইরাসের বিষয়ে বিশ্বের থেকে লুকিয়ে গেছিল। করোনা ভাইরাস চীনের বায়ো ওয়ার ফেয়ার প্রোগ্রামের একটি অংশ।
করোনা বিষয়ে ইজরায়েলের বক্তব্য উহান থেকে করোনার শুরু কোন আশ্চর্য বিষয় নয়। চীনের উহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, সেনাদের সঙ্গে মিলিতভাবে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকারক ভাইরাসের সন্ধান করে। আমেরিকার সেনেটর টম কোয়াটার বলেন, ‘হতেই পারে করোনা ভাইরাস চীনের একটি গুপ্ত হাতিয়ার। যা উহান ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে’। অপরদিকে চীন, রাশিয়া দাবী করছে করোনা ভাইরাস আমেরিকার ট্রেড ওয়ারের অংশ। এবং আমেরিকা আগেও এই ধরনের হাতিয়াররের ব্যবহার করেছে।
রাশিয়ার বক্তব্য চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আঘাত হানতে আমেরিকা এই ভাইরাস বানিয়েছে। ১৯৮০ সালে একবার HIV ভাইরাসের জন্যও রাশিয়া আমেরিকাকে দোষারোপ করেছিল। ২০০৩ সালে চীন যখন ঘোষণা করেছিল যে তাঁদের কাছে অতি প্রাচীন বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার আছে, তখন আচমকাই চীনে সার্স রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণে সিরিয়া দাবী করছে, চীনের অর্থ ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে আমেরিকা এই ভাইরাস বানিয়ে চীনের নামে দোষ দিচ্ছে। আগেও আমেরিকা অন্য দেশকে ধবংস করতে বার্ড ফ্লু, এবোলা, জীকা, সোয়াইন ফ্লু, এন্থ্রাস, ম্যাড কাউ এর মতো মারণঘাতী রোগ সৃষ্টি করেছিল।