বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) চলাকালীনই এবার একটি বড় নির্দেশ জারি করল রাজ্যের (West Bengal) স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যেই, বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে ওই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। মূলত, ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যের স্কুলগুলি আর নিজেদের প্রয়োজনমতো আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করতে পারবে না। যদিও, আচমকাই এহেন নির্দেশের পেছনে ঠিক কি কারণ রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পাশাপাশি, এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সংগঠনগুলি দাবি করেছে যে, বর্তমান সময়ে, রাজ্যের স্কুলগুলির যে হাল রয়েছে তাতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে না দেওয়া হলে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাম্প্রতিক কালে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে রীতিমতো জেরবার রাজ্য সরকার। ঠিক এই আবহেই স্কুলগুলির উদ্দেশ্যে শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে, স্কুল পরিদর্শকদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, কোনো স্কুল এরপর আর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না। যদিও, সামগ্রিক দিক থেকে দেখতে গেলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার জেরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের রীতিমতো বেহাল দশা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, সুষ্ঠুভাবে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে স্কুলগুলির একমাত্র ভরসা সেই অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।
আরও পড়ুন: হয়ে গেল “ডিল”, এবার Bajaj Finance-এর সাথে হাত মেলাল Tata Motors, কি প্ল্যান সংস্থার?
এমতাবস্থায়, এবার সেই অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে দফতরের অনুমতি নিতে গেলে সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় লেগে যাওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি জটিল হয়ে গেল বলেই মনে করছেন অনেকে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। এদিকে, এহেন নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন যে নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য সরকার এমনিতেই যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হলে কয়েক বছর পরেই তাঁদের স্থায়ীকরণের দাবি উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: সফর হবে আরও সহজ! ১৮ ঘন্টার ভ্রমণ শেষ হবে ৭ ঘন্টায়, তৈরি হচ্ছে দেশের আরও একটি এক্সপ্রেসওয়ে
পাশাপাশি, স্কুলগুলির তরফে যাঁদের অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁদের প্রত্যেকেরই বিএড রয়েছে। তাই, এহেন দাবি উঠতেই পারে। যদিও, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা জানিয়েছেন যে, এই নির্দেশিকা নতুন কিছু নয়। কারণ, বিভিন্ন জেলায় আগে থেকেই এই বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই যাতে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন প্রভাবিত না হয় সেই বিষয়টিও শিক্ষা দপ্তর নজরে রাখবে বলে দাবি করা হয়েছে।