বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা প্রযুক্তিগত দিকে উৎপাদনের ক্ষেত্রেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ (India)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ভারত নিজেকে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব (Semiconductor Manufacturing Hub) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।
এমতাবস্থায়, একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ভারতে ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন AMD ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড এবং সেমিকন ট্যালেন্ট বিল্ডিং কমিটির চেয়ারপার্সন জয়া জগদীশ।
তিনি জানান, ট্যালেন্ট পুলের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন ফাংশনের ক্ষেত্রে রয়েছে। যার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, অপারেটর এবং টেকনিশিয়ান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাঁর মতে, “TBC (Talent Building Committee) ভারতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য রোডম্যাপে নজর দেয়। সেখানে প্রতি বছরে চাহিদা এবং প্রতিটি সেক্টরে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। যেটা থেকে বোঝা গিয়েছে যে, ভারতের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রয়োজন রয়েছে।”
বিশেষ করে চিপ ডিজাইন সেক্টরের জন্য ২,৭৫,০০০ জন কর্মী প্রয়োজন। যাঁদের মধ্যে আন্ডারগ্র্যাড, ডিপ্লোমা, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং পোস্টডক্টরাল অফিসারের প্রয়োজনীয়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জগদীশ জানিয়েছেন “প্রতিভাই শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে এবং ভারতে এই প্রতিভা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি অনন্য সুবিধা রয়েছে। কারণ আমাদের প্রতি বছর ৫ লক্ষেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র স্নাতক হয়।”
আরও পড়ুন: এবার ঘুমোতে চলল “ক্লান্ত” প্রজ্ঞান! এরপরে আদৌ কি উঠবে জেগে? বড় তথ্য সামনে আনল ISRO
জগদীশ উল্লেখ করেছেন যে, ভারতে প্রায় দুই দশক আগে শুরু হওয়া ডিজাইন সেক্টর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি বড় সেমিকন্ডাক্টর প্লেয়ারের আজ ভারতে একটি ডিজাইন সেন্টার রয়েছে এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মেধার পাশাপাশি মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন। পাশাপাশি, সামগ্রিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন ইনসেন্টিভ দেওয়া হচ্ছে। যা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: এটাই হল বিশ্বের সবথেকে কমজোর মুদ্রা, ভারতের ১ টাকায় পাবেন এতকিছু! গেলেই হয়ে যাবেন রাজা
এদিকে, প্রতিভার অভাব না থাকলেও, ট্যালেন্ট পুলের কাজের প্রস্তুতিতে সমস্যা রয়েছে। জগদীশ উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষতার সেটের ক্ষেত্রে একটি ব্যবধান রয়েছে এবং একই সাথে সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ইনসেন্টিভ ও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE), ট্যালেন্ট বিল্ডিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করেছে এবং ৩০০ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঠ্যক্রম চালু করেছে।
যদিও এগুলি সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা, তবে স্বল্পমেয়াদে, বিভিন্ন রিস্কিলিং এবং আপস্কিলিং প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি জগদীশের মতে, ছাত্রদের প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা দিয়েও সজ্জিত করা হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে একটি শক্তিশালী ট্যালেন্ট ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করার জন্য, শিল্প, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন এবং বর্তমানে ওই কারণে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সক্রিয় প্রচেষ্টা রয়েছে।