বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই যে নামটা আসবে সেটা হলো মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম। ধোনি তার শান্ত এবং হিমশীতল মস্তিষ্কের সাহায্যে অনেক ম্যাচ তিনি জিতেছেন। একসময় ধোনির অধিনায়ক হিসেবে সময় এতটাই ভালো যাচ্ছিল যে তাকে তুলনা করা হচ্ছিল সেই পরশ পাথরের সাথে যার ছোঁয়ায় যে কোনও বস্তু সোনায় পরিণত হয়। তার অধিনায়কত্বে অনেক তারকা খেলোয়াড়ের কেরিয়ার উচ্চতার চরম শিখরে পৌঁছেছিল। কিন্তু বিরাট কোহলি অধিনায়ক হওয়ার সাথে সাথে এই খেলোয়াড়দের কেরিয়ার গ্রাস করেছিল অফফর্ম। আসুন জেনে নেই এই খেলোয়াড়দের সম্পর্কে।
সুরেশ রায়না:
ধোনির অধিনায়কত্বে সুরেশ রায়না নিজের সেরা ফর্মের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। সুরেশ রায়না ধোনির দলের খুব উপযোগী বা নির্ভরযোগ্য একজন অলরাউন্ডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন সুরেশ রায়না। এই সময়ে, তিনি ধোনির অধিনায়কত্বে মোট ২২৮ টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। এই সময়ে তিনি ৩৫ গড়ে ৬২২৮ রান করেন। ধোনির অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সকারী রায়নার জন্য কোহলির অধিনায়কত্ব ভাল হয়নি। কোহলির অধিনায়কত্বে তিনি মাত্র ২৬ টি ওয়ানডে খেলে ৫৪২ রান করেছেন। তারপর ক্রমে ক্রমে হারিয়ে গিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের মুলস্রোত থেকে।
যুবরাজ সিং:
যদিও এই নিয়ে তর্ক থেকেই যাবে যুবরাজ সিং সৌরভ গাঙ্গুলী নাকি মহেন্দ্র সিং ধোনি, কার নেতৃত্বে সবচেয়ে ভালো ফর্মে ছিলেন। তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে। সেই সময়ও তিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ভারতের অধিনায়ক হন, যুবরাজ সিং ছিলেন তার হাতের তুরুপের তাস। ধোনির সেনাপতি হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। যুবরাজ সিং মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন এবং ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ ছিলেন। যুবরাজ সিং ধোনির দলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্যানসার-কে পরাস্ত করে জাতীয় দলে ফিরলেও কোহলির অধিনায়কত্বে আগের মতোন ডানা মেলতে পারেননি যুবরাজ।
কেদার যাদব:
ধোনির নেতৃত্বের শেষদিকে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় কেদার যাদবের। ধোনি তাকে প্রচুর সুযোগ দেন। মিডল অর্ডারে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে গিয়ে একাধিক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন এই খেলোয়াড়। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে খুব বেশি সুযোগ পাননি এই খেলোয়াড়। গত চার বছর ধরে টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে এই খেলোয়াড়। এমতাবস্থায় এই ক্রিকেটারের দলে ফেরা একপ্রকার অসম্ভব।