বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে জাতীয় দলে তার অভিষেক ম্যাচটা অত্যন্ত স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকে। কিন্তু এমনটা সব সময় হয়না যে নিজের প্রথম ম্যাচেই নিজেকে সম্পূর্ণ মিলে ধরতে পেরেছেন সেই ক্রিকেটার। অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা নিজের প্রথম ম্যাচেই জাতীয় দলের হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া মানে গোটা কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়া। আজ আমরা আলোচনা করব সেই ক্রিকেটারদের সম্পর্কে যারা নিজেদের অভিষেক ম্যাচে ০ রানে আউট হওয়ার পরেও পরবর্তীকালে দেশের সফলতম ক্রিকেটারদের মধ্যে একজনে পরিণত হয়েছেন।
শোয়েব মালিক: পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার নিজের প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছিলেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার ওডিআই অভিষেক ঘটে যেখানে তিনি কিংবদন্তি সনদ জয়সূর্যর বলে আউট হন ‘০’ রানে। কিন্তু তারপরেও তিনি ভবিষ্যতে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত পাওয়া মাহি নিজের প্রথম অভিষেক ম্যাচে দুর্ভাগ্যবশত শূন্য রানেই রান-আউট হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একজন ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ব্যক্তিত্বদের তালিকায় প্রথম সারিতে তুলে এনেছেন।
জেসন রয়: ইংল্যান্ডের এই বিধ্বংসী ওপেনার বর্তমানে সারা বিশ্বে পরিচিত নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে যখন তার অভিষেক ঘটে তখন ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন তিনি কোনও রান না করেই। কিন্তু এরপর অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দেশকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছেন এবং এখন একজন কিংবদন্তি হয়ে ওঠার পথে রয়েছেন রয়।
সুরেশ রায়না: ভারতকে বহু যুদ্ধ জেতানো নায়ক রায়না নিজের কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই ম্যাচটি মনে রাখতে চাইবেন না। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেকে অভিজ্ঞ এবং তারকা অফস্পিনার মুরলিধরনের শিকার হয়ে শূন্য রানেই ফিরেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জিতানোর ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।