বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে আম (Mangoes) অত্যন্ত পরিচিত ও সুস্বাদু একটি ফল। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে আমরা সকলেই আম খেতে ভালবাসি। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন লক্ষ্য করা যায়। তবে জানা যাচ্ছে আরবের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে ভারতের আম্রপালি, মল্লিকার মতো বিশেষ জাতের আম।
কিন্তু আমাদের দেশের বাজারে এই আমগুলির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই জাতের আমগুলির প্রধান উৎসস্থল হল পশ্চিমবঙ্গ। অবাক করে দেওয়া কথা হল পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষও এই আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদেশের আম বিক্রেতারা চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশেষ প্রজাতির এই আমগুলির সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও কাতারের মতো উপসাগরীয় দেশে বাজারজাতকরণের।
বাঁকুড়ার একটি বিখ্যাত ফল ও সবজি উৎপাদনকারী সংস্থার কর্ণধার এ কে দত্ত জানিয়েছেন, “মল্লিকা বিরল প্রজাতির আম। এই আমের সুগন্ধ রয়েছে খুব। আলফোনসোকেও এই আম গুণগত দিক থেকে হার মানাতে পারে। মল্লিকা জাতের আমের স্বাদ আইসক্রিমের মতো সুস্বাদু। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এই জাতের আমগুলি মধ্যপ্রাচ্যে পরিচিত করা।”
ইতিমধ্যেই দু টন আম্রপলি আম গত সপ্তাহে রপ্তানি করা হয়েছে দুবাইতে। মল্লিকা প্রজাতি আম আগামী শনিবার রপ্তানি করা হবে। এ কে দত্তর কথায়, “এর আগে মল্লিকা আম বাংলা থেকে রপ্তানি করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। একটি বাজার হিসেবে আমরা দুবাই থেকে আমাদের পথচলা শুরু করছি।”
শ্রীযুক্ত দত্তর আরও বক্তব্য, তারা আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কথা চালাচ্ছেন আরব আমিরশাহী ও কাতারের গ্রাহকদের সাথে।
সেখানে অত্যাধুনিক প্যাক হাউস ও নেটওয়ার্কের মতো অবকাঠামো তৈরির চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি ডিএফ ব্লকের প্রশাসনিক ভবন শুভন্নাতে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় এ কে দত্ত বাংলা থেকে ফল ও পচনশীল শাক সবজির রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত বিষয় তার মতামত ভাগ করে নেন। এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি ও প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এপিইডিএ)।
এপিইডিএ-এর আঞ্চলিক প্রধান বলেছেন, “আরো উন্নত করতে হবে আমাদের মান। আমদানিকারক দেশগুলির প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে আমাদের। নতুন ও পুরনো রপ্তানি সম্পর্কে আপডেটেডের জন্য যোগাযোগও করা হচ্ছে টেস্টিং ল্যাবরেটরি এবং সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এবং অন্য সহযোগী বিভাগের সাথে।”