বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তাদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে অভিভূত হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। বিশ্বের দরবারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন তারা। তাদের মধ্যে থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী কিংবা সচিন টেন্ডুলকারের মতন কিংবদন্তীরা আগাম ঘোষণা করে সম্মানের সাথে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পেরেছেন। কিন্তু অনেকেই এমন আছেন যাদের কপালে এই সম্মান জোটেনি। আজকের এই প্রতিবেদন তাদেরকে নিয়েই।
বীরেন্দ্র সেওবাগ: ভারতের এই কিংবদন্তি ওপেনারের সামনে বোলিং করতে ভয় পেতেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারেরা। এই আগ্রাসী তারকা’র সামনে শোয়েব আখতার থেকে ব্রেট লি সকলেই একই রকম ব্যবহার পেয়েছেন যখন তার হাতে ব্যাট থাকতো। ভারতের হয়ে মোট ৩৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তিনি মোট ১৭,২৫৩ রান করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ত্রিশতরান এবং ওয়ান ডে-তে একটি দ্বিশতরান করার মতন কীর্তিও রয়েছে তার। ভারতের হয়ে জিতেছেন দুটি ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। কিন্তু শেষটা খুব একটা সম্মানজনক ভাবে হয়নি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে ২০১৩ সালে নিজের শেষ ওয়ান ডে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওই একই বছরে নিজের দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেছেন। তারপর থেকে তাকে আর জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
গৌতম গম্ভীর: ভারতের হয়ে বহু যুদ্ধের নায়ক গৌতম গম্ভীর ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর কথা ঘোষণা করেন কিন্তু ভারতীয় দল থেকে তার বিদায়টাও সুখকর হয়নি। ভারতের হয়ে ২০০৭-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৫ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে ট্রফি জিততে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ৪ বছর পর ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯৭ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ভারতের হয়ে তিনি ৫৮ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪১৫৪ রান করেছেন যার মধ্যে সামিল রয়েছে নয়টি শতরান। ওয়ান ডে ক্রিকেটে পাঁচ হাজারের ওপর রান রয়েছে তার। কিন্তু ২০১৩ সালে তিনি ওয়ান ডে দল থেকে বাদ পড়েন। তারপর আর কামব্যাক করে বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
জাহির খান: আজ ভারতীয় পেস বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী কিন্তু সব সময়ে মনটা ছিল না। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে শুরু করে দ্বিতীয় দশকের শুরুর দিক অবধি বলতে গেলে একার কাঁধে ভারতীয় পেস বোলিং আক্রমণকে টেনেছেন জাহির খান। কিন্তু চোট আঘাতের কারণে তার কেরিয়ার কিছুটা সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। দেশকে তিনিও দুটি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছেন। জাহির নিজের ক্যারিয়ারে ৯২ টি টেস্ট খেলে ৩১১টি উইকেট নিয়েছেন এবং ২০০টি ওয়ান ডে খেলে তার উইকেট সংখ্যা ২৮২। ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিলেন জাহির, যে ম্যাচে তিনি পাঁচ উইকেট নেওয়া সত্ত্বেও আর কোনদিনও ভারতীয় দলে কামব্যাক করতে পারেননি। এছাড়া মোট ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৭ টি উইকেট রয়েছে তার।