বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সমর্থকদের মনে সত্যিই বড় আশা জাগিয়েছিল ভারত। কিন্তু গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে লাগাতার হারের পর এই মুহূর্তে সেমি ফাইনালের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে পারে বিরাট বাহিনী। এই বিশ্বকাপের পরেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চলেছেন বিরাট। কিন্তু বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বের খেলার টিমের হাল দেখে মনে হচ্ছে হয়তোবা আগামী দিনে তার একদিনের ম্যাচেও ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বিশেষত ভারতকে যদি আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে নজর রাখতে হয়, তাহলে এখন থেকেই নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে বিসিসিআইকে। কারণ মনে রাখতে হবে, আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসতে আসতে বিরাটের বয়স প্রায় ৩৪-৩৫ বছর হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কারা কারা, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
শ্রেয়াস আইয়ারঃ
শ্রেয়াস বর্তমানে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের অধিনায়কত্ব ভার পালন করছেন, যদিও এবছর চোটের কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারেননি তিনি, তবে তার অধিনায়কত্বেই গত বছর আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শুধু তাই নয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বড় ভূমিকা রেখেছেন শ্রেয়াস। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারতীয় দলে যোগদান করায় তার কাছে থাকবে ছ বছরের অভিজ্ঞতাও। তাই অনেকেই তাকে দেখছেন প্রধান দাবিদার হিসাবে।
ঋষভ পন্থঃ
কোহলির পর অধিনায়ক হিসাবে দাবি পেশ করার ক্ষত্রে যথেষ্ট এগিয়ে থাকবেন ঋষভ পন্থও। কারণ একদিকে যেমন ভারতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলিতে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পন্থের তেমনি আবার অন্যদিকে এবার দিল্লি ক্যাপিটালস দলের অধিনায়কত্ব ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন এই খেলোয়াড়। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই বলেছেন পন্থ একজন বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। আর তাই আগামী দিনে অধিনায়ক হিসেবে তাকেও নিজের দাবি পেশ করতে দেখা যেতে পারে ।
শুভমান গিলঃ
যদিও এখনও ভারতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লাগবে শুভমান গিলের। তবে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে অধিনায়কত্বের দাবি পেশ করতে পারেন তিনিও। ইন্ডিয়া সি টিমের হয়ে অধিনায়কত্ব করতে দেখা গিয়েছে গিলকে। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে দল ফাইনাল অবধিও পৌঁছেছিল। শুধু তাই নয় নিজেও ১৪৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন গিল। বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মত কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে উজার করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে শুভমানের মধ্যে। আর সেটাই তার পজিটিভ দিক হতে পারে।