বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়েকদিন ধরে সারা বাংলা জুড়ে হয়েছে বৃষ্টিপাত। ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। আর এই জমা জলই মশার (Mosquito) আঁতুড় ঘর। বিগত কয়েক মাস ধরে সারা বাংলা জুড়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যাবেলা ঘরে ঘরে মশার দাপটে টেকা দায় হয়ে উঠেছে।
কিন্তু সব সময় মশার ধুপ জ্বালিয়ে রাখাটাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই ধুপ থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয় শরীরে। বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন সব সময় রাত্রিবেলা মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে। কিন্তু জানেন এমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি বাড়িতে রাখলে মশা ধারে কাছেও ঘেঁসতে পারবে না। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক সেই গাছগুলি সম্বন্ধে।
আরোও পড়ুন : রাজ্যে ক্রমাগত বাড়ছে অবৈধ টোটোর দৌরাত্ম্য! এবার আরোও কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের
• গাঁদা গাছ: গাঁদা ফুলের গন্ধে মশা বা অন্যান্য পোকা দূরে থাকে। বাড়িতে যদি গাঁদা গাছ থাকে তাহলে অনেকটাই কমবে মশার পরিমান। বেশ কিছু ইনডোর প্লান্ট গাঁদা গাছ রয়েছে যেগুলি আপনারা লাগাতে পারেন। বাড়ির দরজার সামনে এই গাছে রেখে দিলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
• তুলসী: তুলসী গাছের আয়ুর্বেদিক গুণের কথা সবারই জানা। এই গাছ পরিবেশকে সতেজ ও পোকামাকড় দূর করতে সাহায্য করে। বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে মশা বা অন্যান্য পোকামাকড় দূরে থাকে।
• পুদিনা: মশা পুদিনা গাছের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না। এই গাছটি প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে কাজে লাগে তাই। পুদিনা গাছ ব্যবহার করে সহজেই আপনারা মশার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। যদি পুদিনা গাছের পাতা ছোট ছোট টুকরো করে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখেন তাহলেও উপকার পেতে পারেন। বাড়ির চারিদিকে পুদিনা গাছ বসালে দূরে থাকবে মশা-মাছি।
• ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডার গাছ বাড়িতে থাকলে মশা-মাছি-পোকামাকড় দূরে থাকে। বাড়ির যে জায়গায় সামান্য রোদ্দুর পরে সেখানে এই গাছ রেখে দিতে পারেন। বাড়ির সৌন্দর্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি পোকামাকড় দূর করতেও সাহায্য করবে।
• রোজমেরি: ঘর সাজাতে অনেকে রোজমেরি গাছ ব্যবহার করেন। এক ধরনের ভেষজ গুল্ম এটি, যা মশা তাড়াতে সাহায্য করে। এই গাছ গরম ও আর্দ্র পরিবেশে ভালো থাকে। আপনারা এই গাছ দরজা বা জানলার বাইরে রাখতে পারেন।