কলকাতার এই কফি শপই এবার ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে! এখানে এলে চমকে যাবেন আপনিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রতিদিনই ভাইরাল (Viral) হয় হাজার হাজার ভিডিও। যেগুলি দেখতে ভিড় জমান নেটিজেনরা। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি খুব সহজেই আকৃষ্ট করে সবাইকে। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিওগুলি প্রভাব ফেলে মনেও। সেই রেশ বজায় রেখেই ফের অবাক করা একটি ভিডিও এবার সামনে এসেছে। যেখানে একজন অনবদ্য শিল্পীর সাথে পরিচিত হচ্ছেন নেটিজেনরা। যদিও, সেখানে রয়েছে একটি বিষয়ও।

বলা হয়ে থাকে যে, পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় উপস্থিত রয়েছেন শিল্পীরা। কিন্তু সবাই স্বীকৃতি পান না। তবে, এবার শহর কলকাতার টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি অনন্য কফি শপ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। কারণ, এই কফি শপের মূল বিশেষত্ব হল শপটির মালিকের সৃজনশীলতা এবং শপটির সাজসজ্জা।

মূলত, ওই কফি শপটি শ্যামা প্রসাদ দে-র। যিনি একজন পেশাদার কার্টুনিস্ট এবং স্কেচ শিল্পী। যদিও, পেশাদার কার্টুনিস্ট হয়েও রোজগারের জন্য শ্যামা প্রসাদকে এই কফিশপ খুলতে হয়েছিল। কিন্তু, তিনি তাঁর সৃজনশীলতাকে লুকিয়ে রাখেন নি। বরং, তিনি তাঁর পুরো কফি শপটিতে, এমনকি কফির কাপেও কার্টুন এঁকেছেন।

আরও পড়ুন: অনুভব হবেনা ঝাঁকুনি, অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে এই অত্যাধুনিক সুবিধা

এই প্রসঙ্গে শ্যামা প্রসাদ জানান, “আজ মানুষ হাসতে ভুলে গেছে, আমি আমার শিল্প দিয়ে তাঁদের হাসাতে চাই।” তাঁর কফিশপটি ভোর ৪ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এদিকে, ইনস্টাগ্রাম ভ্লগার আরাধনা চ্যাটার্জি শ্যামা প্রসাদের এই অনবদ্য কফিশপের বিষয়টি সবার সামনে উপস্থাপিত করেন। যেটি ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! ভারতের এই রাজ্যেই টেসলা স্থাপন করবে তাদের প্রথম কারখানা, ঘোষণার পথে মাস্ক

যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই কফিশপের প্রতিটি কোণ বিভিন্ন কার্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে বিভিন্ন ক্যালিগ্রাফিক উদ্ধৃতিও। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এত ভালো কার্টুনিস্ট হওয়া সত্বেও তাঁকে কেন কফিশপ খুলতে হল? সামনে এসেছে সেই উত্তরও। মূলত, লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো, কার্টুনিস্ট হিসেবে দে-এর কাজও করোনার সময় থমকে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, সংসারের খরচ মেটাতে এই কফিশপ খুলেছিলেন তিনি। এখন তাঁর দোকানে কফি বিক্রি হয় এবং ক্রেতারা তাঁর তৈরি কার্টুন এবং স্কেচও কেনেন। পাশাপাশি, অনেকে এই দোকানে এসে সেলফিও তুলছেন। আর এইভাবেই শ্যামা প্রসাদের তাঁর শিল্পসত্ত্বার মাধ্যমে কফি শপে আকৃষ্ট করছেন সবাইকে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর