বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গণপরিবহণ হল রেলপথ (Indian Railways)। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। দূরের কোনো সফর হোক কিংবা কাছের কোনো গন্তব্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাতায়াতের জন্য রেলপথের জুড়ি মেলা ভার। সর্বোপরি, অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যমগুলির তুলনায় রেলপথে যাতায়াতের খরচ অনেকটাই কম হয়। আর সেই কারণেই যত দিন এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে এইভাবেই পরিষেবা দিয়ে আসছে রেল। তবে ট্রেনে আমরা কমবেশি যাতায়াত করলেও এটি সম্পর্কে অনেক চমকপ্রদ্র তথ্যই আমাদের অজানা থাকে। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেই রকমই এক প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।
মূলত, আজ আমরা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে চলতে থাকা সব থেকে পুরোনো যাত্রীবাহী ট্রেনটি কোনটি সেটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করব। আসলে, এই উত্তরটির ক্ষেত্রে দু’টি ট্রেনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়। সেগুলি হল নেতাজি এক্সপ্রেস এবং চেন্নাই-ম্যাঙ্গালুরু মেল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নেতাজি এক্সপ্রেস ১৮৫৫ সালের ১ জুলাই চালু হয়েছিল। যেটির তৎকালীন নাম ছিল “ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে মেল”। যদিও ১৮৫৬ সালের হাওড়া থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের টাইম টেবিলে চোখ রাখলে দেখা যাবে যে সেখানে দিল্লিগামী কোনো ট্রেনের উল্লেখ নেই।
বরং এটির উল্লেখ পাওয়া যায় যে, একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে দু’টো ফার্স্ট ক্লাস কোচ যুক্ত করে তা রানীগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করত। এদিকে, ২০১৬ সালে নেতাজি এক্সপ্রেসের দেড়শো বছর পূরণের একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আবার, ১৮৬৬ সালে হাওড়া থেকে দিল্লি পর্যন্ত ট্রেন চালু হয়নি। ১৮৬৭ সালে যমুনা নদীর উপর ব্রিজ সম্পূর্ণ হয়। এমতাবস্থায়, ওই বছরই নেতাজি এক্সপ্রেসের হাওড়া থেকে দিল্লি পর্যন্ত পরিষেবা শুরু চালু হয়। পরবর্তীকালে এটি কালকা পর্যন্ত যায়।
এবারে আসি, চেন্নাই-ম্যাঙ্গালুরু মেলের প্রসঙ্গে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ট্রেনটি ১৮৬২ সালের ১ জুলাই চালু হয়। প্রথম ৬০ বছর এই ট্রেনটি “সাউথ-ওয়েস্ট মেল” নামে পরিচিত ছিল। ওই শতাব্দীর ৮০-র দশকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ কালিকট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এদিকে, ১৯০৭ সালে ম্যাঙ্গালুরু পর্যন্ত রেল ট্র্যাক তৈরি হলে এই ট্রেন বর্তমান যাত্রাপথের পুরোটা সফর করে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৯৬০ সালে এই ট্রেনের নামকরণ করা হয় ম্যাঙ্গালুরু মেল হিসেবে।