বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee) অকালমৃত্যুতে যেসব বাংলা সিরিয়ালগুলির বড় ক্ষতি হয়েছে, তার মধ্যে ‘খড়কুটো’ অন্যতম। বড়পর্দা থেকে বিদায় নেওয়ার পর ছোটপর্দাকেই আপন করে নিয়েছিলেন অভিনেতা। সেলুলয়েডে যেমন সফল কেরিয়ার গড়েছেন, তেমনি বহু হিট সিরিয়ালও উপহার দিয়েছেন অভিষেক।
স্টার জলসার খড়কুটো সিরিয়ালে গুনগুনের ‘ড্যাডি’র চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। বাবা মেয়ের রসায়ন অদ্ভূত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাঁরা পর্দায়। একমাত্র মেয়েকে সিরিয়ালে আগলে আগলে রাখতেন অভিষেকের চরিত্রটি। গুনগুন ওরফে তৃণা সাহাও (Trina Saha) জানিয়েছিলেন, ক্যামেরার পেছনেও তাঁদের সম্পর্কটা বাবা মেয়ের মতোই ছিল।
অভিষেকের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণা। শুটিংয়ের মাঝেও অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে তৃণা জানিয়েছিলেন, আর কোনোদিন কাউকে ড্যাডি বলে ডাকতে পারবেন না তিনি। সম্প্রতি তিনি এও বলেছিলেন, অভিষেক নাকি চাইতেন বাস্তব জীবনে তাঁর একমাত্র মেয়ে ডলও ডড় হয়ে তৃণার মতোই হোক।
যদিও অভিনেত্রীর এই কথাটা একেবারেই পছন্দ করেননি প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। কারোর নাম না করেও তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ডল অভিষেকের একমাত্র মেয়ে। তাঁরা চান না যে ডল অন্য কারোর মতো হোক।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তৃণার অন্য একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে খড়কুটো সংক্রান্ত আরেকটি তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি। সিরিয়ালে গুনগুনের চরিত্রটিকে একটু তুতলে কথা বলতে দেখা যায়। বাস্তবেও কি এভাবেই কথা বলেন তৃণা?
অভিনেত্রী উত্তর দিয়েছিলেন, বাস্তবে তিনি একেবারেই স্পষ্ট উচ্চারণ করেন। আসলে সিরিয়ালে ড্যাডি অভিষেকের কথা বলার কিছু ধরণ ধারন, স্টাইল তিনি নকল করেছিলেন। যাতে অনস্ক্রিন বাবা মেয়ের সাদৃশ্যটা বজায় থাকে। মনে হয় যে সত্যিই অভিষেকই তৃণা ওরফে গুনগুনের বাবা। তাই অমন তুতলে কথা বলা।