বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ বললেই চোখের সামনে ভেসে উঠে উত্তম কুমার (Uttam Kumar), সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee), সুপ্রিয়া দেবী, মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মত দাপুটে অভিনেতা অভিনেত্রীদের মুখ। এঁদের মধ্যে উত্তম-সুচিত্রা এবং উত্তম-সুপ্রিয়ার পাশাপাশি উত্তম-সাবিত্রী জুটিও একই রকম জনপ্রিয় ছিল। দুজনের অফস্ক্রিন রসায়ন নিয়ে কিছু কাহিনি এখনো শোনা যায়। কিন্তু একটি বিষয়ে মানুষের কৌতূহল এখনো রয়ে গিয়েছে।
কখনো বিয়ে করলেন না কেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়? সেই সময়ে টানা টানা চোখের সাবিত্রীর প্রেমে পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়? তবুও কখনো সংসার করলেন না অভিনেত্রী। নিজের দিদি বোনেদের সংসারই সামলেছেন তিনি বরাবর। শোনা যায়, উত্তম কুমারকে ভালবেসেছিলেন তিনি। কিন্তু কারোর ঘর ভাঙতে চাননি, তাই বিয়েটাও হয়নি।
বিয়ে না করার কারণ অবশ্য অভিনেত্রী নিজে মুখেই জানিয়েছিলেন একবার। বেশ কয়েক বছর আগে জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ খেলতে এসেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, রত্না ঘোষাল এবং চিত্রা সেনের মতো বর্ষীয়ান অভিনেত্রীরা।
সেখানেই কথায় কথায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবিত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কখনো বিয়ে করেননি কেন? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “যখনি কারোর সঙ্গে প্রেম করতে যাই, তার একটা বউ থাকে। আমার জীবনে এইটাই দেখলাম, খালি কাউকে পেলাম না। আজকেও যদি খালি লোক পাই বিয়ে করে নেব।” এই বলে নিজেই হেসে ওঠেন সাবিত্রী। হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় রচনারও।
শো তে এসে উত্তম কুমারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছিলেন তিনি। এত বছরের কেরিয়ারে মহানায়কের সঙ্গেই সবথেকে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সাবিত্রী। তাঁদের রসায়ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, দুজনের মধ্যে খুব ঠোকাঠুকি হত।
যখনি ‘উত্তমদা’র সঙ্গে পার্ট থাকত নিজের সংলাপগুলো পরিচালককে বলে রাখতেন সাবিত্রী। কিন্তু ভুলেও উত্তম কুমারকে বলতেন না। এমন কেন? রচনার প্রশ্নের উত্তরে সাবিত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর চোখের দিকে তাকালেই সংলাপ ভুলে যেতেন উত্তম কুমার!
https://www.facebook.com/101154822434898/videos/517009433256315/
এ নিয়ে একটু ক্ষোভও ছিল সাবিত্রীর। এমন সুন্দর চোখ তাঁর। আর সেই চোখের দিকে তাকালে নাকি সংলাপ ভুলে যান মহানায়ক! তিনি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক? কিন্তু সাবিত্রী রেগে গেলেও উত্তম কুমার বলতেন, চোখের দিকে সরাসরি না তাকিয়ে বরং কপালে দিকে তাকাতে। না হলেই নিজের পাট ভুলে যাবেন তিনি। এমনি মায়াবী চোখ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের।