বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি IIT, IIM-এর প্রাক্তনী। এমনকি তিনি তৈরি করেছেন রিটেইল চেন সুভিক্ষা (Subhiksha)। তবে, সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং অবাক করা যে বিষয় সেটি হল বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার জন্য তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডেও (Jail) দণ্ডিত করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর, ২০২৩-এ আদালতের রায় অনুসারে, IIT মাদ্রাজের বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার আর সুব্রামানিয়ানকে চেন্নাইয়ের একটি বিশেষ আদালত শত শত বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং তাঁদের সম্পদ বিভিন্ন শেল ফার্মে ব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।
উল্লেখ্য যে, তামিলনাড়ু প্রটেকশন অফ ইন্টারেস্টস অফ ডিপোজিটরস (ইন ফাইন্যান্সিয়াল এস্টাব্লিশমেন্টস) অ্যাক্ট (TNPID অ্যাক্ট) অনুসারে, আদালত সুব্রামানিয়ান এবং তাঁর সহযোগীদের দোষী সাব্যস্ত করে। ওই রায়ে বলা হয়েছে যে, সুব্রামানিয়ান এবং অন্যান্যরা চারটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করেছেন। সেগুলি হল প্রাইম ইনভেস্ট, অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটি বন্ড, লিকুইড প্লাস এবং সেফটি প্লাস। যেগুলি A1 M/s বিশ্বপ্রিয়া ইন্ডিয়া লিমিটেড দ্বারা স্পনসর করা হয়েছিল।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ম্যাচুরিটির হওয়ার পরেও তাঁরা বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে নতুন স্কিমগুলিতে পুনরায় বিনিয়োগ করে স্বল্পমেয়াদী প্রচুর লাভের প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য যে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিশ্বপ্রিয়া ছিল সুব্রামনিয়ানের প্রথম উদ্যোগ। যেটি ১৯৯১ সালের মে মাসে একটি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাশাপাশি, ১৯৯৭ সালে, তিনি সুভিক্ষা চালু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মালগাড়ির কেবিনে কেন জল, বিদ্যুৎ দেয়না রেল! প্রকাশ্যে এল কারণ, জানলে উড়ে যাবে হুঁশ
বহু বিনিয়োগকারী বিশ্বপ্রিয়ার বিভিন্ন স্কিমের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৫৮৭ জন তাঁদের অর্থ ফেরত পাননি। এছাড়াও, সুব্রামনিয়ানের স্বীকার করেছেন যে, তিনি গত দশ বছর ধরে কোনো অর্থ জমা করেননি এবং সমস্ত প্রোগ্রামে আমানতকারীদের কাছে তিনি ১৩৭ কোটি টাকারও বেশি ডিফল্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির সুযোগ! জারি হল বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
বিপুল অঙ্কের জরিমানা:
এমতাবস্থায়, আদালত সুব্রামানিয়ানকে ৮.৯২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে এবং দোষী সাব্যস্ত সংগঠনগুলিকে ১৯১.৯৮ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই পরিমাণের মধ্যে, আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের জন্য ১৮০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ক্ষতিপূরণের অর্থ একটি অনুমোদিত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। যেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নথিপত্র যাচাই করার পরে তাঁদের সেই অর্থ বিতরণ করা হবে।