গরমের ছুটির কারণে পড়াশোনার ঘাটতি, এবার রবিবারেও যেতে হবে স্কুল! জানুন নয়া বিজ্ঞপ্তি!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণবঙ্গে গরম অব্যাহত। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলত গরমও তেমন কমছে না। কিছু কিছু জায়গায় তো তাপমাত্রার পারদ ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে! এমতাবস্থায় শেষ হয়েছে গরমের ছুটি (Summer Vacation)। ফের শুরু হয়েছে স্কুল। গুমোট গরমের মধ্যেই স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।

অনেকে ভেবেছিলেন, গরম এখনও বজায় থাকায় ছুটি হয়তো বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে এমনটা হয়নি। কারণ এরপর যদি ছুটি বাড়ানো হয় তাহলে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না। তবে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদ্যালয়ের (School) সময়সূচিতে বদল আনা যেতে পারে। দরকার হলে বেলার বদলে সকাল সকাল ক্লাস শুরু করতেও অসুবিধা নেই। তবে মিড ডে মিল প্রকল্পে এক্ষেত্রে কোনও বদল আনা হয়নি।

   

গরমের থেকে রেহাই পেতে ইতিমধ্যেই বহু বিদ্যালয়ে সকাল সকাল পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও সিলেবাস শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে খবর। দ্বিতীয় সমেটিভ পরীক্ষা আসন্ন। তাহলে উপায়? শেষে পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতে এক অভিনব উপায় বের করল সিউড়ী (Suri) ১ নম্বর ব্লকের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল হাই স্কুল।

আরও পড়ুনঃ পুলিশি হেফাজতে BJP কর্মীর মৃত্যু! CBI তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা, চরম পদক্ষেপ হাই কোর্টের!

সিলেবাস শেষ করতে ছুটির দিন তথা রবিবারেও পঠনপাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপসবাবু এই প্রসঙ্গে জানান, একটানা ৫০ দিনের ছুটি থাকার কারণে পড়াশোনায় অনেকটাই প্রভাব পড়েছে, ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এদিকে পরীক্ষা আসন্ন। সেই কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিলে এই পন্থা খুঁজে বের করেন। পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তাপসবাবু বলেন, প্রথম প্রথম অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্তে সায় দেবেন কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। তবে প্রস্তাব দেওয়ার পর দেখা যায়, রাজি তো হয়েছেনই, উল্টে প্রথমদিনের উপস্থিতির হারও বেশ ভালো। ছাত্রছাত্রীরাও ভালো সাড়া দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Summer Vacation classs in school

জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক রবিবার একই ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে না। প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির ছেলেমেয়েদের পড়ানো হচ্ছে। শুরুতে নবম শ্রেণির অঙ্ক, বাংলা, ভূগোলের ক্লাস নেওয়া হয়েছে। পরের দিন আবার অন্য একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতে সিউড়ির এই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর