বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের সবথেকে সফল এবং আইকনিক জুটি কারা? প্রশ্ন উঠলে অনেকেই বিনা বাক্য ব্যয়ে নাম নেবেন উত্তম সুচিত্রার (Uttam Suchitra)। টলিউডের স্বর্ণযুগের তো বটেই, বাঙালির চিরকালীন সবথেকে জনপ্রিয় জুটি তাঁরা। একসঙ্গে যতগুলি ছবিই তাঁরা করেছেন সবই জায়গা করে নিয়েছে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে। তবে তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন নিয়ে যতটা চর্চা হয় তার থেকেও বেশি তাঁদের অফস্ক্রিন সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহ ছিল আমজনতার মধ্যে।
উত্তম সুচিত্রা (Uttam Suchitra) জুটিকে নিয়ে কৌতূহল বরাবরের
বাঙালি মননে প্রেমের নয়া সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন উত্তম সুচিত্রা (Uttam Suchitra) জুটি। তাঁদের সিনেমা আসা মাত্র দর্শক উপচে পড়ত হলে। আজো একই রকম প্রাসঙ্গিক তাঁদের জুটি। তবে এই জুটিকে ঘিরে আগ্রহও বরাবর তুঙ্গে থেকেছে অনুরাগীদের। বিনোদুনিয়ার অন্দরের গুঞ্জন বলে, গোপনে বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁদের। একথা দুজনের কেউই কখনো প্রকাশ্য স্বীকার না করলেও তাঁদের মধ্যেকার ঘনিষ্ঠতা কারোরই অজানা ছিল না।
প্রকাশ্যে কেউ কিছু স্বীকার করেননি: দুজনেরই বাস্তব জীবনে ছিলেন আলাদা আলাদা জীবনসঙ্গী। একটা সময় পর উত্তম কুমার (Uttam Suchitra) সুপ্রিয়া দেবীর কাছে গিয়ে উঠলেও সুচিত্রার সঙ্গে বাস্তবে কখনো মিলন হয়নি তাঁর। কিন্তু ধিকিধিকি আগুনের আঁচ পেয়েছিলেন সকলেই। সেই আঁচে ভর করেই বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়। মাত্র একটি ছবির পোস্টার হইচই ফেলে দেয় সর্বত্র।
আরো পড়ুন : আরিয়ানের ডেবিউ থেকে ফ্যামিলি ম্যানের তৃতীয় সিজন, একগুচ্ছ ওয়েব সিরিজ আসছে ২০২৫-এ
একটি পোস্টারেই যত বিতর্ক: সালটা ১৯৫৪। ওই বছরই মুক্তি পেয়েছিল উত্তম সুচিত্রা (Uttam Suchitra) জুটির ছবি ‘অগ্নিপরীক্ষা’। এই ছবির পোস্টারটিই ছিল স্পেশ্যাল। কারণ দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পোস্টারে লেখা হয়েছিল, ‘অগ্নিপরীক্ষা, অন্তর্নিহিত ভালোবাসার সাক্ষী’। এই লাইনটিই জন্ম দেয় বিতর্কের। তাতে আবার ধুনো দিয়েছিল ওর নীচে দুই তারকার সাক্ষর।
আরো পড়ুন : শ্রীদেবীর সঙ্গে পরকীয়া বনির, বাবা মায়ের বিচ্ছেদে নষ্ট হয়েছিল শৈশব, বিষ্ফোরক অর্জুন
ছাইচাপা আগুন এক নিমেষে দাবানল হয়ে ওঠে এই পোস্টারের জন্য। উত্তম সুচিত্রার (Uttam Suchitra) সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হয়। কিন্তু বিষয়টা ভালো ভাবে নেননি উত্তম কুমার জায়া গৌরী দেবী এবং সুচিত্রার স্বামী। দুই পরিবারেই ছড়ায় বিতর্কের রেশ। তবে বিষয়টা নিয়ে কখনোই প্রকাশ্যে কাউকে বলতে শোনা যায়নি। এমনকি ওই মন্তব্যের নীচে মহানায়িকার সাক্ষরের কথাও শোনা যায়। কিন্তু তার প্রমাণও এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।