বাংলা হান্ট ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আগামী ৮ সেপ্টেম্বর G20 সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে (India) আসছেন। তিনি তাঁর বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে (One) নয়াদিল্লি পৌঁছবেন। ভারতে পৌঁছনোর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি বাইডেন নয়াদিল্লিতে তাঁর হাই সিকিউরিটিযুক্ত “দ্য বিস্ট” গাড়িতে চেপে সফর করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি আমেরিকার নিউক্লিয়ার ফুটবলও ভারতে আসছে। ফুটবল নামে অভিহিত এই ব্যাগ থেকে পারমাণবিক হামলার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। এই নিউক্লিয়ার ফুটবল সবসময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশেপাশে থাকে। তবে, যেকোনো বিদেশ সফরে সাধারণ মানুষের চোখ থেকে এটিকে দূরে রাখা হয়।
নিউক্লিয়ার ফুটবল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নিউক্লিয়ার ফুটবলকে সেই ব্রিফকেস বলা হয় যার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেকোনো সময় পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিতে পারেন। এই ব্রিফকেসটিতে পারমাণবিক হামলার অনুমতি দিতে পারে এমন কম্পিউটার কোড এবং কমিউনিকেশন ডিভাইস রয়েছে। এটির ওজন হল প্রায় ২০ কেজি। পাশাপাশি, পারমাণবিক হামলা এবং তার লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত করার জন্য সেটিতে একটি বিস্কুটের মতো কার্ডও রয়েছে। পারমাণবিক হামলার অনুমতির জন্য এই কার্ডে কোড লেখা থাকে। এই কার্ডের আকার হয় ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি। বিস্কুট আকৃতির এই কার্ডে পাঁচটি অ্যালার্ম সেট করা আছে। যাতে সেটি ভুলবশত হারিয়ে গেলেও সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও, এটিকে হারিয়ে ফেলার মতো বিষয় এতটাও সহজ নয়।
আরও পড়ুন: দেশের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে এবার বড়সড় প্রতিক্রিয়া জাতিসঙ্ঘের! সত্যিই কি “ইন্ডিয়া” হবে “ভারত”?
নিউক্লিয়ার ফুটবলে কি থাকে: পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দেওয়ার মতো ওই ব্রিফকেসের ভিতরে অ্যান্টেনা সহ একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস রয়েছে। যাতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এবং যেকোনো জায়গায় কথা বলতে পারেন। শুধু পেন্টাগনই নয়, এটির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রধারী সাবমেরিন, পারমাণবিক হামলার যুদ্ধবিমান এবং ভূগর্ভস্থ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যেতে পারে। লঞ্চ কোডগুলি একবার মিলে গেলেই এই মাধ্যমগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক আক্রমণ চালাতে পারে।
আরও পড়ুন: ৭২ বছর বয়সেও অবলীলায় চালাতে পারেন JCB-ক্রেন! এই ঠাকুমার রয়েছে ১১ টি ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স
নিউক্লিয়ার ফুটবল হারিয়ে গেলে কি হবে: উল্লেখ্য যে, নিউক্লিয়ার ফুটবল হারিয়ে গেলে কি হবে এই বিষয়টি নিয়ে প্রায়শই আলোচনা হয়। এই প্রসঙ্গে এশিয়া টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিউক্লিয়ার ফুটবল যদি কোনো বহিরাগতের হাতে পড়ে তাহলে তা বিশ্বের জন্য কোনো বিপদ সৃষ্টি করবে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য এই জাতীয় কোনো লঞ্চ কোড সাধারণ মানুষের কাছে থাকবে না। কিন্তু, ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর থেকে, পেন্টাগনের ইন্সপেক্টর জেনারেল মূল্যায়ন করছেন যে, নিউক্লিয়ার ফুটবল নামে পরিচিত স্যুটকেসটি অন্তর্ধানের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কাছে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা রয়েছে কি না!