আর খাটবে না কোনো জারিজুরি! এবার ঋণদাতাদের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন নিচ্ছে RBI

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের চাহিদা এবং খরচের পরিমানও। এমতাবস্থায়, অনেকেই বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজন অনুসারে ঋণ নিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এহেন হাজার হাজার সংস্থা উপলব্ধ রয়েছে বাজারে। তবে, এই কোম্পানিগুলি থেকেই জনগণকে সতর্ক করতে এগিয়ে এল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)।

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই জানতে পারা গিয়েছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি রিপোর্ট জারি করে বলা হয়েছে দেশে গজিয়ে ওঠা ওই সংস্থাগুলির মধ্যে হাজার হাজার ভুয়ো ঋণ সংস্থা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এটি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ সংস্থাই ভুয়ো নামে তাদের কারবার বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই কাজে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।

মূলত, নেটমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে সংস্থাগুলি। এমতাবস্থায়, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এহেন ভুয়ো সংস্থাগুলিকে দ্রুত তাদের ব্যবসা বন্ধ করে প্রতারণা না করার জন্য সতর্ক করেছে। পাশাপাশি, ওই ফিনটেক সংস্থাগুলির অ্যাপের সমস্ত চার্জ সম্পর্কে তথ্য দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই ডিজিট্যাল ঋণ নিয়ে জনগণকে বারংবার সতর্ক করেছে RBI।

শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে এমন ৯০ টি সন্দেহজনক কোম্পানির বিবরণ রয়েছে। অথচ বর্তমানে বাজারে উপলব্ধ রয়েছে ২,০০০-এরও বেশি ডিজিটাল ঋণ প্ৰদানকারী সংস্থা। পাশাপাশি, এমনও অভিযোগ এসেছে যে, এগুলির মধ্যে আবার কিছু কিছু কোম্পানি ঋণ না দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য জেনে সরাসরি প্রতারকদের সাথে শেয়ার করে দেয়। যার ফলে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্যও চলে যায় হাতের বাইরে। ইতিমধ্যেই এহেন একাধিক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে সাইবার সেলে। আর ওই কারণেই প্রতারণা এবং জালিয়াতি রুখতে বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে।

rbi

কারা হন টার্গেট: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই ভুয়ো সংস্থাগুলি মূলত, ছাত্র এবং যুবকদেরকেই বেশি “টার্গেট” করে। অর্থাৎ, যাঁরা খুব বেশি অর্থ আয় করেন না, তাদের ডিজিট্যাল ঋণের লোভ দেখিয়েই ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে ফেলে সংস্থাগুলি। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার সংস্থাগুলি তাদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিয়ে ফেলে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর