বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে রেলপথকে (Indian Railways) আরও উন্নত করে তুলতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেল সুইস রেলের সহযোগিতার মাধ্যমে হাব এবং স্পোক মডেল সহ টানেলিং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি অনুসরণ এবং শেখার জন্য পরিকল্পনা করছে। এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় PTI-এর সাথে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, রেলমন্ত্রী আধুনিক এবং প্রচলিত উভয় প্রযুক্তিতেই সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় শেখার সুযোগ এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি সুইস রেলেয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠক থেকে অর্জিত মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টির ওপর জোর দেন। যেখানে মূলত, টানেলিং প্রযুক্তির ওপর ফোকাস করা হয়েছিল। মন্ত্রী এক্ষেত্রে বিশ্বের দীর্ঘতম ৫৭ কিলোমিটার গোথার্ড টানেলের উল্লেখ করে সুইজারল্যান্ডের দক্ষতার প্রশংসা করেন। এর পাশাপাশি তিনি সুইজারল্যান্ডের উন্নত ট্র্যাক প্রযুক্তি, বিশেষ করে তাদের ট্র্যাকগুলির “আকর্ষণীয়” কাঠামোরও প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য যে, অশ্বিনী বৈষ্ণব সুইজারল্যান্ডের রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক পর্যবেক্ষণ করে সেটির হাব-অ্যান্ড-স্পোক ডিজাইনের ওপর জোর দিয়েছেন। এই মডেলে, জুরিখের মতো একটি কেন্দ্রীয় হাবে একাধিক ট্রেন একত্র হয়। যা যাত্রীদের সহজেই একই সময়ে ছেড়ে যাওয়া অন্যান্য ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধা প্রদান করে।
এই প্রসঙ্গে বৈষ্ণব বলেন, ভাগলপুর থেকে বেঙ্গালুরু বা কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের মতো দূরবর্তী শহরগুলির মতো সাথে এন্ড-টু-এন্ড সংযোগের ওপর ভারতের জোর দেওয়া থেকে এই পদ্ধতির পার্থক্য রয়েছে। মূলত, সুইজারল্যান্ড, দক্ষ পরিবর্তনের জন্য সিঙ্ক্রোনাইজড আগমন এবং প্রস্থানের ওপর জোর দিয়ে অসংখ্য সংযোগকারী স্পোক সহ ছয়টি হাবকে কাজে লাগায়। এন্ড-টু-এন্ড কানেক্টিভিটির বিপরীতে তাদের নেটওয়ার্ক পরিকল্পনার ফোকাস হাব-এন্ড-স্পোক মডেলের ওপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার চিনকে ভাতে মারতে মাঠে নামলেন আম্বানি! ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে মেগা এন্ট্রি নিতে চলেছে Jio
এমতাবস্থায়, মন্ত্রী একটি মৌ স্বাক্ষরের মাধ্যমে সুইস রেলের সহযোগিতার মাধ্যমে শেখার সুযোগের কথা বলেন। তিনি ট্রেন, বাস, কেবল কার এবং মেট্রো সহ বিভিন্ন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মোডের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের দক্ষ ইন্টার-কানেক্টিভিটির প্রশংসা করেন। যাত্রীরা একটি সাধারণ কার্ড বা টিকিট ব্যবহার করেই এই মাধ্যমগুলিতে সহজেই ভ্রমণ করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সুইজারল্যান্ড ৫,২০০ কিলোমিটারের রেল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: কাকতালীয় ঘটনা! ১৫০ বছর ধরে এই সম্প্রদায় জানে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন! হয় বিশেষ উৎসবও
এদিকে সম্প্রতি, ভারতীয় রেল জাপানি “সেভেন মিনিট ক্লিনিং মিরাক্যাল” থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে। যেখানে জাপানে ট্রেনগুলিকে আগমনের পরের রাউন্ডের ট্রিপের জন্য প্রস্তুত করার জন্য ৭ মিনিটে পরিষ্কার করা হয়। গত ১ অক্টোবর, ২০২৩-এ, ভারতীয় রেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির জন্য ১৪ মিনিটের “ক্লিনিং মিরাক্যাল”-এর মাধ্যমে পরিছন্নতার নিজস্ব ভার্সন চালু করেছিল।