বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের একবার সকলের চিন্তা বাড়িয়ে দিল চিন (China)। জানা গিয়েছে, এবার একটি চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পৃথিবীতে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। পাশাপাশি, এটির ফলে বিশ্বের একটি বড় অংশ প্রভাবিত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক এয়ারোস্পেস কর্পোরেশনের মতে, গত ২৪ জুলাই চিনের লঞ্চ করা লং মার্চ 5B রকেটের একটি অংশ ৩১ জুলাইয়ের কাছাকাছি একটি অনিয়ন্ত্রিত পুনঃপ্রবেশ করতে পারে। এই বুস্টারটির ওজন প্রায় ২৩ মেট্রিক টন।
পাশাপাশি, সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে এই ধ্বংসাবশেষ পতনের সম্ভাব্য অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। তবে, চিন এই উদ্বেগের বিষয়টি সরাসরি উড়িয়ে দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা একজন বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমেরিকা মহাকাশের ব্যাপারে চিনের উন্নয়ন বন্ধ করতে পারছে না। তাই, তারা এমন মনগড়া অভিযোগ করছে।”
অপরদিকে, সমালোচকরা বলছেন যে, এমন কয়েকটি অনিয়ন্ত্রিত দুর্ঘটনা রয়েছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চিনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ প্রতিযোগিতার ঝুঁকিকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে। পাশাপাশি, গত মঙ্গলবার এয়ারোস্পেস জানিয়েছে, “একটি জনবহুল এলাকায় অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ অবতরণের সম্ভাবনা শূন্য নয়। বিশ্বের জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশেরও বেশি এই ধরণের ধ্বংসাবশেষের শিকার হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের মে মাসে, আরেকটি লং মার্চ রকেটের টুকরো ভারত মহাসাগরে অবতরণ করেছিল। তখনও চিনা মহাকাশ সংস্থা সেটির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল বলে মনে করা হয়। এই প্রসঙ্গে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, “এটা স্পষ্ট যে চিন এইসব ধ্বংসাবশেষের জন্য দায়ী এবং এগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
যদিও, চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গত বুধবার বেজিংয়ে জানিয়েছেন যে, “চিন এই সপ্তাহের লঞ্চ থেকে বুস্টারের পুনঃপ্রবেশ ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছে।”পাশাপাশি, তিনি জানান, “স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের গবেষণা ও উন্নয়ন পর্ব থেকে, এটি ধ্বংসাবশেষ প্রশমন এবং অরবিটাল রিটার্নের ধারণা নিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।”