বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের (Pakistan) করুণ পরিস্থিতি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অর্থের জন্য হাত পাতলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ঠিক সেই আবহেই এবার এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করল পাকিস্তান। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সঙ্কটের মধ্যে থাকা পাকিস্তানিদের কিছুটা রেহাই দিতে এবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখন একটি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
মূলত, সেদেশের সেনাবাহিনী দেশের ১০ লক্ষ একরের বেশি কৃষি জমি দখলে নিয়ে কৃষিকাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়া নিক্কেই এশিয়ার একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের দরিদ্র মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে শুরু করেছে এবং এর জন্য সরকারি মালিকানাধীন জমির বড় অংশও দখল করতে শুরু করেছে। তবে, সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য নিয়ে উদ্বেগও আরও একবার বেড়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল থেকে একটি নতুন খাদ্য সুরক্ষা অভিযান শুরু হবে এবং এই কাজটি একটি বেসামরিক-সামরিক বিনিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে করা হবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দিল্লির থেকে প্রায় তিনগুণ বড় একটি এলাকা অর্থাৎ পাঞ্জাব প্রদেশের প্রায় ১০ লক্ষ একর জমি অধিগ্রহণ করবে। এমতাবস্থায়, যাঁরা এই প্রকল্পকে সমর্থন করছেন তাঁরা বিশ্বাস করছেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তানে ভালো ফসল উৎপাদন হবে এবং জলও সাশ্রয় হবে।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে সফর করেছেন কতজন? রিপোর্ট কার্ড সামনে আনলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, জানলে হবেন অবাক
উল্লেখ্য যে, নিক্কেই এশিয়া তাদের রিপোর্টে বলেছে, ফসল বিক্রি থেকে লাভের প্রায় ২০ শতাংশ রাখা হবে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, অবশিষ্ট অংশ সেনাবাহিনী ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে। তবে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এমনিতেই অনেক শক্তিশালী। এমতাবস্থায় খাদ্য সুরক্ষা অভিযানের মাধ্যমে বিপুল মুনাফা অর্জন হতে পারে এবং এর ফলে পাকিস্তানের কোটি কোটি ভূমিহীন গ্রামীণ দরিদ্রদের ব্যাপক ক্ষতিও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভুলে যান চাকরির চিন্তা! এবার বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে ৯০,০০০ টাকা রোজগারের সুযোগ দিচ্ছে SBI
জানিয়ে রাখি যে, সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে ওই দেশের প্রায় ৯ কোটি মানুষ দারিদ্রের শিকার হয়েছেন। এদিকে, প্রায় এক বছর আগে, যৌথ বেসামরিক-সামরিক বিনিয়োগ সংস্থা পাকিস্তানের খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা চালু করেছিল। যার লক্ষ্য ছিল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি।