বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির (DA Getting School) জন্য এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির জন্য মিলেছে সুখবর। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে আটকে থাকা ঘোষিত মহার্ঘ ভাতা এবার পেতে চলেছেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জানিয়ে রাখি যে, আমাদের রাজ্যে মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা হল প্রায় ৪০ টি।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য ৪ শতাংশের মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছিলেন। তবে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই শতাংশের হার হল ১০ শতাংশ। এমতাবস্থায়, ওই স্কুলগুলি এবার বকেয়া ১০ শতাংশের মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছে। এদিকে, কলকাতার মধ্যে মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল।
এমতাবস্থায়, সামগ্রিক বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল জানিয়েছেন যে, “রোপা ২০০৯ অনুযায়ী বেতন পেয়ে থাকে মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। এই, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার ফলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন। তবে, এক বছরে দ্বিতীয়বার ঘোষণা করা মহার্ঘ ভাতা পাওয়া গেলে বেশি ভালো হত।
আরও পড়ুন: খুঁজে খুঁজে শত্রুদের করবে নিকেশ! সেনাবাহিনীর হাতে এল Nagastra-1, রয়েছে দুর্ধর্ষ সব ফিচার্স
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রোপা ২০১৯ অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন ও মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হয়। অপরদিকে, রোপা ২০০৯ অনুযায়ী, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির বেতন ও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে এই নতুন মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হওয়ার পরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মহার্ঘ ভাতার হার ১৪১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হল ১৫১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে নো পাঙ্গা! চিনকে ঝটকা দিয়ে Vivo কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার পথে Tata Group
জানিয়ে রাখি যে, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির জন্য অর্থ দপ্তরের কাছ থেকে পৃথকভাবে অনুমোদন নিতে হয়। যার ফলে জানুয়ারি মাসের মহার্ঘ ভাতা পেলেও এপ্রিল থেকে যে দ্বিতীয় মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা সেই প্রক্রিয়া এখন থমকে রয়েছে। এদিকে বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন যে, “অর্থ দফতর থেকে এই অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিকবার নবান্নে ছুটতে হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা ১৫১ শতাংশ DA ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকেই পাবেন। এখনও এপ্রিল থেকে পাওয়া যে ১০ শতাংশ বাকি থেকে গেল আশা করি শিক্ষা দপ্তর খুব তাড়াতাড়ি সেই বকেয়া পাওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”