বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার কি ঘনিয়ে আসছে নয়া বিপদ? সম্প্রতি একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে আসার পরেই ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন। পাশাপাশি, সমগ্র বিষয়টি জানার পর চমকে উঠবেন প্রত্যেকেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার সাইবেরিয়ায় (Siberia) গলে যাওয়া বরফের ভেতর থেকে জেগে উঠছে ঘুমিয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ পোকা। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন কয়েক হাজার বছরের হিমশীতল পার্মাফ্রস্ট (Siberian Permafrost) এবার গলে যাচ্ছে। মূলত, সাইবেরিয়ায় বরফে জমা হ্রদের ভেতরেই রীতিমতো ঘুমিয়ে ছিল এই কৃমির মতো পোকারা।
জানিয়ে রাখি যে, পার্মাফ্রস্ট হল পৃথিবীর উপরিভাগে বরফের স্তরের তলায় থাকা জমাট বাঁধা মাটি। এদিকে, বরফ গলতে শুরু করায় সেই মাটির নিচে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস ফের জেগে উঠছে। এছাড়াও, ঘুম ভাঙছে হাজার হাজার বছরের পুরোনো পোকাদেরও। যার জেরে বরফ গলে গেলেই তারা বংশবিস্তার করতে শুরু করবে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি “প্লস জেনেটিক্স” সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
পাশাপাশি, জানা গিয়েছে বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়াই ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী, হাজার হাজার বছর ধরে বরফের নিচে ঘুমিয়ে ছিল এগুলি। তবে, বরফ গলে গেলেই এই পোকা পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করবে। এদিকে, তাদের এই “শীতঘুম”-টিকে বিজ্ঞানীরা “ক্রিপটোবায়োসিস” হিসেবে বিবেচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাইকেলে বিক্রি করতেন ডিটারজেন্ট, এখন কয়েক হাজার কোটির মালিক! Nirma-র সফলতা অবাক করবে
কিভাবে গলছে বরফ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের পথ আরও প্রশস্ত হয় তাহলে আরও প্রচুর পরিমাণে বরফ গলবে। যার জেরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণঘাতী মাইক্রোবসরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এর আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। ২০০৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা আলাস্কার একটি বরফের হ্রদ থেকে ৩২ হাজার বছরের পুরোনো এক ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে আন্টার্কটিকার বরফের তলায় ৮০ লক্ষ বছর পুরোনো ব্যাকটেরিয়ারও সন্ধান পান গবেষকরা।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির চেয়ে ৯ কোটি টাকা বেশি বেতন পান রিলায়েন্সের এই কর্মী, তাঁর পরিচয় অবাক করবে
এদিকে, সম্প্রতি তিব্বতীয় মালভূমিতে দু’টি হিমবাহের মধ্যে ১৫ হাজার বছরের ভাইরাসের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে ৩৩ রকমের ভাইরাসের জিনোম মিলেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেগুলির মধ্যে ২৮ টি একেবারেই অজানা ভাইরাস। গবেষকরা জানিয়েছেন, বরফের মধ্যে কম তাপমাত্রায় থাকায় এইসব ভাইরাসের জিন এখনও সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেগুলিকে ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।