আরজি করের পর বাঁকুড়া! থ্রেট কালচারের অভিযোগে উত্তাল কলেজ, ঘেরাও অধ্যক্ষ-সুপার

Published on:

Published on:

Threat Culture Allegation Rocks Bankura Medical College

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কালচারের অভিযোগ নতুন নয়, বিশেষ করে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর থেকেই এই বিষয়ে আশঙ্কা ও আলোচনা শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেই ধারাই যেন এখনও বজায় রয়েছে। এবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের বক্ষ বিভাগে থ্রেট কালচার (Threat Culture) উত্তেজনা চরমে।

‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) চালানোর উত্তাল কলেজ চত্বর

সেখানে কর্মরত জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ তুলেছেন, বিভাগীয় প্রধান অভিজিৎ মণ্ডল ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছেন এবং কাজের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তুলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) চালানোর অভিযোগ তুলে তাঁকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন জুনিয়ররা। শনিবার সেই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। আন্দোলন, বিক্ষোভের পাশাপাশি অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাওও করেন তাঁরা।

চিকিৎসকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন রোগী পরিষেবা থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন বিভাগীয় প্রধান। এর আগেও এই বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলেজ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে তদন্ত শুরু হলেও থ্রেট কালচার (Threat Culture) বন্ধ হয়নি বলে দাবি পড়ুয়াদের। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষা বা ক্লিনিকাল নম্বর কমিয়ে দেওয়া, ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নষ্ট করার হুমকি দেওয়া, এই সমস্ত অভিযোগে আরও চাপে পড়েছেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

Threat Culture Allegation Rocks Bankura Medical College

আরও পড়ুনঃ কবে থেকে শুরু কর্মসূচি? ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা

একজন প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসক জানান, “অধ্যক্ষ জানিয়েছেন সোমবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশাবাদী। তবে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার।” অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে এবং রিপোর্টও জমা পড়বে। থ্রেট কালচারের (Threat Culture) মতো বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষ সবসময় সতর্ক।” সোজা কথায়, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ফের একবার চিকিৎসা শিক্ষার পরিবেশ প্রশ্নের মুখে।