বাংলাহান্ট ডেস্ক: হুমকি চিঠি (Threat Letter) পাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিচ্ছেন সলমন খান (Salman Khan)। সেলিম খান ও সলমনকে খুনের হুমকি চিঠি পাওয়া গিয়েছিল দিন দশেক আগে। চিঠিটি খুঁজে পেয়েছিলেন অভিনেতার বাবা সেলিম খানই। তারপরেই জানা যায়, সলমনকে মারার জন্য নাকি শার্প শুটারও পাঠানো হয়েছিল।
পুলিসের অনুমান, এই সব কিছুর মূলেই রয়েছেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। যদিও হুমকি চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন বিষ্ণোই, তবুও সন্দেহ তাঁর উপর থেকে সরছে না। এর মাঝেই মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, সলমনের কাছ থেকে টাকা আদায় করার লক্ষ্যেই নাকি হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিষ্ণোই।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে, সলমনের মতো একজন হেভিওয়েট অভিনেতার থেকে তোলা তুলে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে চাইছিল বিষ্ণোই গ্যাং। অভিনেতা এবং বড় ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায় করার লক্ষ্যেই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে খবর।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিধু মুসে ওয়ালার হত্যাকে কাজে লাগিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে বিষ্ণোই গ্যাং। নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে চাইছে। কিছুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো সব সূত্র পুলিসের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তদন্ত এখনো চলছে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। বাড়ানো হয়েছে সলমনের নিরাপত্তাও।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, লরেন্স বিষ্ণোই নাকি সলমনকে মারার জন্যও এক শার্প শুটারকে পাঠিয়েছিলেন। একটি হকিস্টিকের মধ্যে লুকিয়ে বন্দুক নিয়ে এসেছিল ওই শার্প শুটার। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সলমনের বাড়ির ঠিক বাইরেই তক্কে তক্কে ছিল ওই শুটার। পরিকল্পনা ছিল, সকালে সলমন যখন সাইকেলে চড়ে মুম্বইয়ের রাস্তায় বেরোন তখনি তাঁকে মারা হবে।
কিন্তু ভাগ্য জোরে বেঁচে যান সলমন। যেদিন তাঁকে মারার পরিকল্পনা হয়েছিল, সেদিনই সকালে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল অভিনেতার। সেই জন্য পুলিসের একটি গাড়ি এসে পৌঁছেছিল তাঁর বাড়িতে, তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পুলিস দেখেই ধরা পড়ার ভয়ে পিছিয়ে আসে শার্প শুটার। বরাত জোরে বেঁচে যান সলমন।