একঘেয়ে দীঘা, পুরী আর নয়! কম খরচে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই তিনটি জায়গা থেকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির কাছে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা বলতে প্রধানত তিনটি। দীঘা-পুরী কিংবা দার্জিলিং। কিন্তু গরম বাড়ার সাথে সাথে ভিড় কমতে শুরু করেছে দীঘা ও পুরীর সৈকত থেকে। এই সময় ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পাহাড়ে। পর্যটকের সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিংয়ে।

গরমকাল আরো যত এগিয়ে আসবে ততই দার্জিলিংয়ে বৃদ্ধি পাবে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) কাছেই রয়েছে এমন তিনটি জায়গা যেখানে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন। কম খরচে স্বাদ বদল করার জন্য আপনি এই তিনটি হিল স্টেশন থেকে ঘুরে আসতেই পারেন।

১. ধোত্রে (Dhotre) : ধোত্রে পড়বে সান্দাকফু যাওয়ার পথে। এই গ্রামটি কিন্তু অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। এই গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখি এই গ্রামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও এই গ্রামে ট্র্যাকিং এর সুবিধা রয়েছে। যারা একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এই গ্রামটি আদর্শ। NJP থেকে গাড়ি ধরে পৌঁছানো যায় এই গ্রামে।

dhotrey

২. তাকদা (Takda) : আপনি যদি দার্জিলিংয়ের ভিড় থেকে সরে এসে একটু নির্জনতার মধ্যে সময় কাটাতে চান তাহলে তাকদা যেতে পারে। এই গ্রামের একদিকে রয়েছে চা বাগান ও অপরদিকে রয়েছে পাহাড়। তাকদা দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৮ কিমি দূরে। শতবর্ষ প্রাচীন ঝুলন্ত ব্রিজ এই গ্রামের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্থান। অন্যদিকে, আপনি পাহাড় দেখতে পাবেন দুরপিনদারা ভিউ পয়েন্ট থেকে। ব্রিটিশ আমলের বেশ কিছু ছাপ রয়েছে এই গ্রামে। NJP থেকে গাড়ির সাহায্যে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন তাকদা।

takdah

৩. তিনচুলে (Tinchuley) : তাকদা থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিনচুলে। এই গ্রাম থেকে দুর্দান্ত ভিউ পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। এই গ্রামে কমলা লেবুর বাগান আপনার মনকে খুশিতে ভরিয়ে তুলবে। চা বাগানে ঘেরা এই গ্রামটি আপনাকে স্বাগত জানাতে তৈরি। তিনচুলে ছাড়াও আপনি থাকতে পারেন লামাহাটাতে। পেশক ভিউ পয়েন্ট আপনি উপভোগ করতে পারেন এই গ্রাম থেকে। দার্জিলিং থেকে মাত্র দেড় ঘন্টার যাত্রা করলেই আপনি পৌঁছে যাবেন তিনচুলে।

tinchuley

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর